বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:অবৈধ খাদান থেকে পাথর/কয়লা চুরির ঘটনায় গত ১২/১৩ বছর বহু অভিযোগ হয়েছে। শাসক দলের অনেকেই এর সঙ্গে যুক্ত বলে বিরোধীরা দাবি জানিয়ে আছেন। সেই পরিস্থিতিতেই অবৈধ খাদান থেকে চলছিল পাথর তোলার কাজ। সেইসময় নামে ধস। মৃত্যু হয়েছে ৬ শ্রমিকের। আহত হয়েছেন আরও তিন শ্রমিক। বীরভূমের নলহাটিতে পাথর খাদানে এই দুর্ঘটনায় সরব হয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, প্রশাসনিক গাফিলতি এবং অবৈধ প্রাণঘাতী বিস্ফোরক সামগ্রীর অবাধ ব্যবহারের ফলেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই নিয়ে NIA তদন্তের দাবি জানান তিনি। শুভেন্দুর মতো এই ঘটনায় NIA তদন্তের দাবি জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা মিল্টন রশিদও। গতকাল নলহাটির বাহাদুরপুর পাথর খাদানে ধস নামে। সেইসময় ওই খাদানের মধ্যে পাথর তোলার কাজ করছিলেন ৯ জন শ্রমিক। ধসে চাপা পড়েন তাঁরা। ধস নামার খরব পেয়ে এলাকার অন্যান্য পাথর খাদানের শ্রমিকেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। রামপুরহাট গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসকরা ৬ জনকে মৃত ঘোষণা করেন। ৩ জন চিকিৎসাধীন।
জানা যায়, ওই পাথর খাদান থেকে অবৈধভাবে পাথর তোলা হচ্ছিল। দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে অবৈধ পাথর খাদান নিয়ে সরব হন শুভেন্দু। পাথর খাদানে বিস্ফোরণের জেরে শ্রমিকদের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, “পাথর খাদানে বিস্ফোরণে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হল ছয় জন নিরীহ শ্রমিকের। এই দরিদ্র শ্রমিকরা শুধুমাত্র পরিবারের দু’মুঠো অন্ন জোগানোর জন্য এই খাদানে কাজ করছিলেন।”
শুভেন্দুর মতো NIA তদন্তের দাবি জানিয়ে কংগ্রেস নেতা মিল্টন রশিদ বলেন, “আমার কাছে খবর রয়েছে, বীরভূমের ২০০টি পাথর খাদানের মধ্যে ৬-৭টি সরকার অনুমোদিত। বাকি খাদানগুলি অবৈধ। আর অবৈধ খাদানগুলিতে বিস্ফোরণের জন্য বিস্ফোরক কোথা থেকে আসে, সেগুলো খতিয়ে দেখা দরকার। এগুলো রাজ্য সরকার ঠিকমতো দেখবে না। তাই আমরা রাজ্য কংগ্রেসের তরফে এই নিয়ে NIA তদন্ত চাইছি।”