বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: জানুয়ারির শুরুতেও ছিলেন সন্দেশখালির দাপুটে তৃণমূল নেতা। তারপর পঞ্চান্ন দিনের অন্তরাল। এরপর পুলিশি হেফাজতেও আঙুল উঁচিয়ে ইশারা করতে দেখা গিয়েছিল সন্দেশখালির তথাকথিত ‘বাঘ’কে। কিন্তু দুইরাত সিবিআই হেফাজতে কাটিয়ে শরীরী ভাষায় খানিক কি বদল আসল সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতার?
সূত্রের খবর, শেখ শাহজাহানের মুখ খোলাতে বিভিন্ন ভাবে চাপ তৈরি করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। শেখ শাহজাহানকে জেরার সময় পাঁচ জানুয়ারি তার দুটি মোবাইলের কল লিস্ট সামনে রাখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক নিজের আগেকার অবস্থানের পরিবর্তন করে জানিয়েছেন, ইডির ওপরে হামলার দিন তিনি শেখ শাহজাহানকে ফোন করেছিলেন। বলেছিলেন যেন কোনও হামলা-মারামারির ঘটনা না ঘটে।
সেই পরিস্থিতিতে শুক্রবার সকালে দ্বিতীয়বারের জন্য সন্দেশখালির আকুঞ্জিপাড়ায় শেখ শাহজাহানের বাড়িতে যান সিবিআই আধিকারিকরা। ইডির দেওয়া তালা ভেঙে ঘরে ঢোকেন তাঁরা। ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেন সঙ্গে যাওয়া ফরেনসিক এক্সপার্টরা।
সেই পরিস্থিতিতে এদিন সকালে শেষ শাহজাহানকে নিজাম প্যালেস থেকে বের করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়, জোকা ইএসআই হাসপাতালে। সেখানেই সংবাদ মাধ্যমের সামনে প্রথমবার মুখ খোলেন শেখ শাহজাহান। তিনি যা বলেছেন, তার অর্থ, সুবিচারের আশায় রয়েছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, শেখ শাহজাহানের কথায় আশার থেকে নিরাশা বেশি ধরা পড়েছে।
অথচ এই শেখ শাহজাহানকে রাজ্য পুলিশ গ্রেফতারের পরে যখন আদালতে পেশ করার জন্য নিয়ে যাচ্ছিল সেই সময় সে আঙুল উচিয়ে ইঙ্গিত করেছিল, কোনও কথা বলবে না। প্রায় একসপ্তাহ পরে শুক্রবার বদলে গেল শেখ শাহজাহান। কার্যত নিরাপত্তার জাল এড়িয়ে কয়েকটি কথা ছুঁড়ে দেয় সে।
শুক্রবার মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় শেখ শাহজাহান বলে, সব মিথ্যা কথা। তারপরেই সে বলে, ওপরওয়ালা বিচার করবে। এদিন শাহজাহানের পরনে ছিল সাদা টি শার্ট। রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছেন, এখন শেখ শাহজাহানের মধ্যে দাপটের লেশমাত্র নেই।