বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: সিএএ আইন নিয়ে তীব্র আক্রমণাত্মক কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়কে আঘাতের চেষ্টা করা হচ্ছে। বিজেপি সরকার সেই লক্ষ্যে কাজ করছে। সেজন্যই এই সিএএ। এমন দাবি করেছেন বহরমপুরের সাংসদ।
কেন্দ্রীয় সরকার পোর্টাল চালু করেছে। বাংলার সাধারণ মানুষকে এই বিষয়ে তলিয়ে ভাবতে অনুরোধ করছেন অধীর চৌধুরী। ভোটের রাজনীতির জন্য এই আইন চালু করা হল। বিজেপি একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে টার্গেট করে ফেলছে। আসলে হিন্দুদের জন্য এই আইন। এমনই দাবি অধীর চৌধুরীর।
কংগ্রেস আমলে নাগরিকত্ব আইন ছিল। সেই পুরনো আইনকেই রাখা যেত। নতুন আইন করে বিভাজনের রাজনীতি কেন? প্রশ্ন তুললেন অধীর চৌধুরী। তিনি সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, এখন অবধি ভারতে মোদী জমানায় ১৪১৪ জন শরণার্থী এসে নাগরিকত্ব পেয়েছেন। তাও আবার পুরনো কংগ্রেস জমানার তৈরি আইন অনুসারে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। তাহলে নতুন আইনের কী প্রয়োজন ছিল?
নরেন্দ্র মোদী সরকার বারবার দবি করেছে লক্ষ লক্ষ মানুষ পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান থেকে শরণার্থী হিসেবে ভারতে আসছেন। তাদের জায়গা দিতে হবে। শরণার্থী হিসেবে কেউ এলে তাদের আটকানো উচিত নয়। সে কথা অধীর চৌধুরী বলেছেন। কিন্তু কোথায় এত মানুষ? এর মাধ্যমে বিজেপি রাজনীতি করছে। এমন দাবি করেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানেন এই নাগরিকত্ব আইন আসলে বেআইনি। সেই কারণে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দিয়ে ঘোষণা করানো হচ্ছে। এই আইনে সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়বেন অমুসলমানরা। যদিও টার্গেট করা হচ্ছে মুসলমানদের। দাবি করছেন অধীর চৌধুরী।
উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে সিএএ নিয়ে সমস্যা তৈরি হবে। অসমে যেসব বাঙালিরা থাকেন, তাদের অনেক সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে। এমন আশঙ্কা করছেন অধীর চৌধুরী। বাংলার মানুষকে এই বিষয় নিয়ে ভাবতে বলা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর দাবি করেছেন, সিএএর কারণে ১৫ টি আসনে এখন বিজেপি জিতবে। ভোটের রাজনীতির জন্য এই আইন চালু করা হল। কটাক্ষ করছেন অধীর চৌধুরী।
২০১৯ সালে লোকসভা ও রাজ্যসভায় বিল পাশ হয়। এই সময় তৃণমূল কংগ্রেসের আট জন সাংসদ উপস্থিত ছিলেন না সংসদ ভবনে। সেই বিষয়টিও মনে করে দিলেন অধীর চৌধুরী। ঘুরিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করলেন তিনি।