বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: গুরুতর আহত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর মাথায় আঘাত লেগেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ছবি প্রকাশ করা হয়েছে তাতে দেখা গিয়েছে মাথা ফেটে গিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে।
জানা গিয়েছে বাড়িতে পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত লেগেছে তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির লোকেরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। বাড়ির সামনে হাঁটার সময় হোঁচট খেয়ে দুর্ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সঙ্গে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা।
খবর পেয়ে ইতিমধ্যেই হাসপাতালে পৌঁছেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ভাই বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম। রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারও হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছেন। জানা গিয়েছে প্রায় অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। চিকিৎসকরা তাঁর চিকিৎসা শুরু করে দিয়েছেন। চোট কতটা গুরুতর মাথার আঘাত নিয়েও চিকিৎসা চলছে।
জানা গিয়েছে পায়ে আগেই আঘাত ছিল মুখ্যমন্ত্রী। সেকারণে চিকিৎসকরা তাঁকে পরিমিত হাঁটা চলা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু চিকিৎসকরেদর পরামর্শ উপেক্ষা করেই তিনি পদযাত্রা সহ একাধিক মিটিং মিছিলে হাঁটাচলা করছিলেন। আজ একডালিয়ায় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর তিনি বাড়িতে গিয়েছিলেন। বাড়িতেই হাঁটছিলেন তিনি। সেখানেই পড়ে গিয়ে আহত হন মুখ্যমন্ত্রী।
পায়ের সমস্যা তৈরি হয়েছিল বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকেই। নন্দীগ্রামে প্রচারে গিয়ে পায়ে আঘাত পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু ভাঙা পা নিয়েই তিিন বিধানসভা ভোটের প্রচার করেছিলেন। তারপরে আবার শিলিগুড়িতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে হেলিকপ্টারের জরুরি অবতরণের সময় আঘাত পেয়েছিলেন পায়ে। তারপর থেকেই চিকিৎসকরা তাঁকে সাবধানে চলা ফেরা করতে বলেছিলেন।
ইতিমধ্যেই প্রাথমিক চিকিৎসা হয়েছে। নিউরো মেডিসিন, নিউরো সার্জারি, কর্ডিওলজি, চেস্ট ও মেডিসিনের সব মিলিয়ে দশ সদস্যর মেডিক্যাল টিম গঠন করে চিকিৎসা করা হয়েছে। তবে মাথায় স্টিচ পড়বে কিনা তা নিয়ে চিকিৎসকরা জানতে পারেননি। রক্তপাত হয়েছে বলে আঘাত কতোটা তা জানতে স্ক্যান করার ভাবনাচিন্তা চলছে। উডবার্ন ওয়ার্ডে ইতিমধ্যেই ভিড় করতে শুরু করেছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, মালা রায়, সুব্রত বক্সি সহ একাধিক প্রথম সারির নেতা।