বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: বুধবার তাইওয়ানে ভূমিকম্পের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ভূমিকম্প চিন ও জাপানে। রিখটার স্কেলে জাপানের ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল ৬১. এবং চিনে ৫.৫। কোথাও থেকে ক্ষয়ক্ষতির তেমন খবর এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার চিনের কিংহাইয়ের মাঙ্গিয়ায় আঘাত হেনেছে ভূমিকম্প। রিখটার স্কেলে তীব্রতা ৫.৫। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিমি গভীরতায় ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল বলে জানা গিয়েছে। এদিন জাপানের হোনসু শহরের পূর্ব উপকূলে ৬.৩ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩২ কিমি গভীরতায়। দুটি ক্ষেত্রেই ক্ষয়ক্ষতি বা আঘাতের কোনও তাৎক্ষণিক খবর পাওয়া যায়নি। এই ভূমিকম্প টোকিওতেও অনুভূত হয়।
ফুকুশিমা পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অপারেটর টেপকোর তরফে জানানো হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত প্ল্যান্টে বা এই অঞ্চলে কোথাও কোনও অস্বাভাবিকতা পাওয়া যায়নি। জাপান বিশ্বের সব থেকে টেকটোনিকভাবে সক্রিয় দেশগুলির মধ্যে একটি। সেখানকার পরিকাঠামোগুলি যাতে শক্তিশালী ভূমিকম্প সহ্য করতে পারে সেইরকম ভাবেই ডিজাইন করা হয়।
প্রায় তেরো কোটি মানুষের বসবাস জাপানে। প্রতিবছর সেখানে প্রায় পনেরোশো ভূমিকম্প হয়। যার বেশিরভাগই মৃদু। বৃহস্পতিবারের ভূমিকম্প নিয়ে ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, এর মাত্র ছিল ৬.১। গভীরতা ছিল ৪০.১ কিমি।
এখনও পর্যন্ত জাপানে সব থেকে মারাত্মক ভূমিকম্পটি হয় ২০১১ সালে। দেশের উত্তর-পূর্ব উপকূলে ২০১১-র মার্চে হওয়া সেই ভূমিকম্পের তীব্র রিখটার স্কেলে ছিল ৯। সেই ভূমিকম্পে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় উনিশ হাজার মানুষের। ওই ভূমিকম্পে ফুকুশিমা পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি চুল্লির ব্যাপক ক্ষতি হয়।
বুধবার তাইওয়ানে ৭.৪ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। যার জেরে জাপানের ইয়োনাগুনি দ্বীপে সুনামির সৃষ্টি হয়। তাইওয়ানের ভূমি অন্তত নয় জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আহতের সংখ্যা সাতশোর বেশি। বহু বাড়ি ধ্বংস হয়েছে কিংবা হেলে পড়েছে। ১৯৯৯ সালে তাইওয়ানের নান্টু কাউন্চিতে ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানার প্রায় ২৫ বছর পরে এটি ছিল সব থেকে শক্তিশালী ভূমিকম্প।