বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি মামলায় আদালতে তীব্র ভর্ৎসনার শিকার রাজ্য সরকার এবং শাসক দল। সন্দেশখালির ঘটনার একশো শতাংশ দায়িত্ব শাসক দলের এমনই মন্তব্য করেছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার শুনানির সময়
শেখ শাজাহানের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত দায়ের হওয়া FIR এবং দাখিল করা চার্জশিট তলব করল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
মুখবন্ধ খামে সমস্ত FIR এবং চার্জশিট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সময় চেয়ে নেওয়া হয় তার জন্য । বাকি মামলা তো আর্থিক দুর্নীতির নয়। তাহলে সেই FIR এবং চার্জশিটের কপি নিয়ে ED কি করবে ? সওয়াল করেছিলেন রাজ্য সরকারের আইনজীবী।
ইডির আইনজীবী পাল্টা জানায়, ওই অভিযোগগুলোর তদন্ত আমরা করতে চাইনা। কিন্তু আর্থিক দুর্নীতির তদন্তের স্বার্থে সেগুলি দেখার প্রয়োজন আছে। সন্দেশখালির তদন্তে কমিশন গঠন করা হোক। মহিলারা এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। একটা শাহজাহান জেলে আছে, কিন্তু ওখানে এখনো অনেক শাহজাহান আছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল।
সন্দেশখালির এই ঘটনার সঙ্গে প্রশাসনের সর্বস্তরের আধিকারিকরা যুক্ত আছেন, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হোক বলে আদালতে দাবি জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। আমার সঙ্গে অনেক গ্রামবাসী আছেন যারা আদালতে হলফনামা দাখিল করে বলতে পারেন যে এই গোটা ঘটনার সঙ্গে বহিরাগতদের যোগাযোগ আছে। পাল্টা এমনই জানিয়েছেন শেখ শাজাহানের আইনজীবীর।
তার প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি বলেছেন, আপনি যদি একই সঙ্গে শেখ শাজাহান এবং গ্রামবাসীদের হয়ে সওয়াল করেন তাহলে এটা ধরে নিতে হবে যে এই গ্রামবাসীদের সাজিয়ে এবং শিখিয়ে আনা হয়েছে।
আগে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ দেখুন, তারপর কথা বলবেন। ৪০-৪৫ দিনের অপর আইনকে এড়িয়ে পালিয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছেন বলে পাল্টা মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি।
ধর্ষনের একটি অভিযোগও যদি সত্যি হয় তাহলে সেটা অত্যন্ত লজ্জাজনক। জাতীয় রিপোর্ট অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গ মহিলাদের জন্য সবথেকে সুরক্ষিত। এই অবস্থায় যদি একজন মহিলার অভিযোগও সত্যি হয় তাহলে সেটা দুর্ভাগ্যজনক। যদি কোন একটি অভিযোগও সত্যি হয় তাহলে পুলিশ এবং প্রশাসনকে তার দায় নিতে হবে। এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি।