বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: কোচবিহারে দাঁড়িয়ে শীতলকুচি ইস্যুতে (Sitalkuchi firing) দিল্লি সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। একই সঙ্গে বীরভুমের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরকেও তীব্র আক্রমণ শানান।
শীতলকুচির সময় প্রাক্তন এই আইপিএস অফিসার পুলিশ সুপার পদে ছিলেন। আর তা তুলে ধরেও এদিন আক্রমণ শানান রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। বলেন, হাতে রক্ত নিয়েই বিজেপি-র প্রার্থী হয়েছে। এদের জবাব দেওয়ারও কথা বলেন।
প্রথম দফায় লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) ১৫ দিনও বাকি নেই। দেশের পাশাপাশি আগামী ১৯ এপ্রিল ভোট হবে রাজ্যের তিন আসনে। আর সেই তিন লোকসভা আসন হল কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে।
নির্বাচনের মুখে আজ কোচবিহারে বৃহস্পতিবার হাইভোল্টেজ সভা নরেন্দ্র মোদী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর সেই সভা থেকেই একাধিক ইস্যুতে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ শানান তিনি। বলেন, বিজেপি এজেন্সি দিয়ে ভোট করাচ্ছে। কিন্তু সেই এজেন্সির কাছে মাথা নত করব না বলেও বার্তা মমতার।
শীতককুচি প্রসঙ্গে এদিন প্রশাসনিক প্রধান বলেন, ভুলে গিয়েছেন, নির্বাচনের সময় শীতলকুচির লাইনে পাঁচজনকে গুলি করে মারা হয়েছিল। এর মধ্যে চারজন সংখ্যালঘু এবং রাজবংশী একজন ভাই ছিলেন। ঘটনার কথা শুনেই ছুটে এসেছিলাম। সেই সময় যে লোকটার নির্দেশে এই কাজ হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে দুটি ডিপি চলছে। ভিজিল্যান্স ক্লিয়ার দেওয়া হয়নি। আইনকানুন কিছু মানে না। আবেদন জানানো হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকার তাঁকে ক্লিনচিট দিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ প্রশাসনিক প্রধানের।
শুধু তাই নয়, তাঁর আরও দাবি, বীরভূমে গিয়ে উনি দাঁড়িয়েছেন। শীতলকুচিতে গুলি চালিয়ে, মানুষ মেরে রক্তের দাগ হাত থেকে এখনও মোছে নি বলেও মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, বীরভুমের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরের বক্তব্যকে কটাক্ষ করেন। বলেন, এখন উনি এসডিপিও ছিলেন বলে দাবি করছেন। তাতে কী? যে কেউ ওসি, কনস্টেবল, সিভিক হতে পারেন। কিন্ত্য কোনও দলের দালালি করে প্রাণ কেড়ে নেওয়ার অধিকার নেই। এরপরেই বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতা বলেন, বিজেপির একটাই আইন, ওয়ান নেশন অ্যান্ড ওয়ান পলিটিক্যাল পার্টি।