বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়! দুর্নীতির অন্যতম ‘কিংপিন’ এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান শান্তি প্রসাদ সিনহাকে গ্রেফতার করল ইডি।
শ্যোন এরেস্ট করা হয়েছে তাঁকে। এরপরেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ এই আধিকারিককে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা।
আগামী সোমবার পর্যন্ত ইডি (ED) হেফাজতের নির্দেশ আদালতের। যদিও এই প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শান্তি প্রসাদ সিনহার আইনজীবী। এমনকি এই বিষয়ে আদালতও উষ্মা প্রকাশ করেছেন বলেও দাবি আইনজীবীর। ইডির এহেন পদক্ষেপ নীয়গ দুর্নীতির তদন্তে (West Bengal SSC scam) বড় পদক্ষেপ বলেই মনে করা হচ্ছে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের শুরুতেই এসএসসির (West Bengal SSC scam) প্রাক্তন চেয়ারম্যান শান্তি প্রসাদ সিনহাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। দফায় দফায় জেরা শেষে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। দফায় দফায় আধিকারিকের বাড়িতেও চলে তল্লাশি। দীর্ঘ তল্লাশিতে একাধিক নথি উদ্ধার হয়।
পাশাপাশি বাড়ি থেকে দেড় কেজি সোনা ও ৫০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে সিবিআই (CBI)। এরপরেই শান্তি প্রসাদ সিনহাকে নিজেদের হেফাজতে নেয় সিবিআই। বর্তমানে যদিও জেলে বিচারধীন। স্কুল সার্ভিসে একাধিক নিয়োগ মামলার তদন্তে তাঁকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই।
পরে তাঁকে গ্রেফতার করে তাঁরা। এসপি সিনহাই প্রথম ব্যক্তি যিনি নিয়োগ কাণ্ডে সিবিআই-এর হাতে প্রথম গ্রেফতার হন। মঙ্গলবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের (West Bengal SSC scam) উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যানকে জেরা করতে যান ইডির আধিকারিকরা। কিন্তু একাধিক প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান বলে খবর। এরপরেই এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে শোন অ্যারেস্ট করে ইডি।
এরপরেই হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন জানায় তদন্তকারী সংস্থা। সেই মতো আগামী বুধবার পর্যন্ত এসপি সিনহাকে হেফাজতে পেল ইডি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যা গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এসএসসি নবম-দশম নিয়োগ মামলার তদন্তে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে। এমনকি এসপি সিনহার ভূমিকা নিয়েও নতুন তথ্য হাতে এসেছে।
এই বিষয়ে তাঁকে জেরা করা প্রয়োজন বলে মত ইডির। আর সেই কারনে এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান হেফাজতে নেওয়ার প্রয়োজন বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার। বলে রাখা প্রয়োজন, স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন শান্তি প্রসাদ সিনহা। যদিও উপদেষ্টা কমিটির গঠন আদালত অবৈধ বলে ঘোষণা করেছে। সংগঠিতভাবে নিয়োগ দুর্নীতি করতেই কমিটি গঠন বলেও দাবি তদন্তকারী সংস্থার।