বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ১৯ এপ্রিল লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট। পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং আসনে সেদিন ভোটগ্রহণ হবে। ভোট প্রচার তুঙ্গে উত্তরে।
আজ ফালাকাটায় আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী প্রকাশ চিক বরাইকের সমর্থনে নির্বাচনী জনসভায় উপস্থিত ছিলেন দীপক অধিকারী (দেব)। সেজন্য ছুটি দিয়ে দেওয়া হলো স্কুল!
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় স্কুল থেকে বাসে করে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে যাওয়ার বিষয় নতুন নয়। সবুজসাথী সাইকেল প্রদান-সহ সরকারি পরিষেবা প্রদানের অনুষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রাখা নিয়ে ক্ষোভও দেখা গিয়েছে অভিভাবক মহলে।
এবার নির্বাচনী জনসভার জন্য নির্ধারিত সময়ের আগে ছুটি ঘোষণা করা নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে ফালাকাটার জটেশ্বর উচ্চ বিদ্যালয়ে। ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। প্রতিদিন আটটি করে ক্লাস নেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। আজ চার পিরিয়ডের পর স্পোর্টসের ক্লাস করিয়েই ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়।
স্কুলের মাঠেই দেবের হেলিকপ্টার নামার জন্য হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছে। তৃণমূপল কংগ্রেসের ব্লক স্তরের নেতাদের আবদারে সাড়া দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। আজ দুপুর থেকেই স্কুল চত্ত্বরে ভিড় জমতে শুরু করে। এরই মধ্যে ছুটি ঘোষণা করে দেওয়া হয়।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক জানিয়েছেন, ছাত্র-ছাত্রীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই বিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন বন্ধ রাখা হয়েছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে হেলিপ্যাড তৈরি করার জন্য বিদ্যালয়ের মাঠ নেওয়া হয়েছে। হেলিকপ্টার নামবে। ভিড়ে ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয় সে কারণেই নাকি এই পদক্ষেপ।
যদিও ছুটি ঘোষণা হলেও দেখা গিয়েছে অভিনেতা-সাংসদ দেবকে দেখার আশায় মাঠেই ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে ছাত্র-ছাত্রীরা। নানা বয়সের মানুষজনও সেখানে দেব-দর্শনে অপেক্ষমান। কখন দেব আসবেন সে সম্পর্কে সঠিক তথ্যও নেই সকলের কাছে।
স্কুল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছে। রাজ্যের শাসক দলের জনসভার জন্য কেন পঠন-পাঠন চুলোয় উঠবে, সেই প্রশ্নই উঠছে। স্কুল চলাকালীন জনসভা চত্ত্বরে যে উচ্চস্বরে মাইক বাজানো হচ্ছিল তাতে পড়াশোনায় মন বসানোও দায়। বিরোধীদের কটাক্ষ, হালে পানি পেতে মরিয়া শাসক দল। তাই সভা আগে, চুলোয় যাক পড়াশোনা। সরকারি মহল থেকে কোনও নির্দেশ না এলেও স্রেফ তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের আবদারেই বন্ধ করে দেওয়া হলো স্কুল।