বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:চোপড়া আর তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান সমার্থক। সাধারণ সময়ে বিরোধীদের সরাসরি ভয় দেখালেও পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ বিরোধীদের। কিন্তু নির্বাচনের আদর্স আচরণ বিধি চালু হয়ে যাওয়ার পরে বিরোধীদের হুমকি দিয়ে বিপাকে চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক।
এদিন নির্বাচন কমিশনের তরফে তাঁকে চিঠি দিয়ে ২৫ এপ্রিল বিকেল পাঁচটার মধ্যে জবাব দিতে বলেছে। জবাব না দিলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তাঁর বিডিও পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। কেন তিনি বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন, তাও জানতে চেয়েছে কমিশন।
নিজের এলাকায় তৃণমূলের প্রকাশ্য সভা থেকে হামিদুল রহমান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট না দিলে কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে যাওয়ার পরে তাদের সেন্ট্রাল ফোর্স থাকবে। তখন কিছু হলে তার দায়িত্ব তিনি হামিদুল রহমান নেবেন না বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
এই মাসের শুরুর দিকে চোপড়ার মাঝিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতেক চুয়াগাড়ি চৌরঙ্গী মোডের সভা থেকে বিরোধীদের উদ্দেশে হামিদুল রহমান বলেছিলেন, যে বিরোধী ভোটাররা তৃণমূলকে ভোট দেবেন না, তাঁদেরকে মনে রাখতে হবে. ২৬ এপ্রিল ভোটের পরে কেন্দ্রীয় বাহিনী এলাকা থেকে চলে যাবপে। তখন কিন্তু এলাকার বাহিনীর সঙ্গেই থাকতে হবে।
তিনি বিরোধী দলগুলি বিসেষ করে বিজেপি ও সিপিআইএমের কর্মীদেরকে তাদের মূল্যবান ভোট নষ্ট না করার অনুরোধ করেছিলেন হামিদুল।
চোপড়ার সাধারণ মানুষকেই শুধু নয়, তৃণমূলে নেতাদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিধায়ক হামিদুল রহমান। সেখানকার পঞ্চায়েত সদস্যদের উদ্দেশে হামিদুল রহগমান বলেছিলেন, চোপড়ার ৯০ শতাংশ বুথে তৃণমূল ভোট না পেলে পঞ্চায়েত সদস্যদের বসিয়ে দেওয়া হবে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর হামিদুল রহমানের সেই হুমকি ভিডিও পরীক্ষা করে দেখেছে নির্বাচন কমিশন। তারপরেই তাঁকে শোকজের চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠি হামিদুল রহমানকে বলা হয়েছে ১০ এপ্রিল এই মন্তব্য তিনি করেছিলেন। সেই কারণেই এই শোকজ।
প্রসঙ্গত, উল্লেখ করা প্রয়োজন বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজের এক্স হ্যান্ডেলে হামিদুল রহমানের সেই বিডিও শেয়ার করে নির্বাচন কমিশনের কাছে চোপড়ার তৃণমূস বিধায়কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, নিজের এলাকায় তৃণমূল বিধায়ক বিরোধী দলের কর্মীদের হুমকি দিতে শোনা যাচ্ছে।