বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:যখনই কোটি কোটি টাকা নিয়ে চাকরি কেনার প্রসঙ্গ সামনে আসে তখনই দেখা যায় অযোগ্যদের চাকরি বাঁচানোর জন্য মন্ত্রীসভা অতিরিক্ত পদ তৈরী করে সেই অযোগ্যদের চাকরি রক্ষার জন্য মন্ত্রীসভা সিদ্ধান্ত নেন।
এদিকে কলকাতা হাই কোর্টের রায়ে বাংলার প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে। সেই রায়ে সুপার নিউমারিক পোস্ট তৈরির জন্য সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি পর্যবেক্ষণে এও বলা হয়েছিল, প্রয়োজনে যে কাউকে সিবিআই ডাকতে পারে। তবে হাই কোর্টের সেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশে আজ স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। উল্লেখ্য, কলকাতা হাই কোর্টের চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এসএসসি এবং রাজ্য সরকার। এই আবহে আজ চাকরি বাতিলের রায়ে স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করে শীর্ষ আদালত। প্রশ্ন হচ্ছে, কার স্বার্থে এমন বেআইনি সিদ্ধান্ত মন্ত্রীসভা নিয়েছে?
বে আইনি নিয়োগের প্রশ্ন সামনে আসতেই মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, এক জনেরও চাকরি খেতে দেবো না আমরা। অতিরিক্ত পদ তৈরী করে তাদের চাকরি বজায় রাখবো। প্রশ্ন উঠছে, এটাকি সত্যিই বেআইনি কথা নয়। আর তা নিয়েই সিবিআইকে তদন্ত চালিয়ে যেতে বললো সুপ্রিম কোর্ট। এবার? নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণে বলেন, ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছিল। প্যানেলের বাইরে থেকে নিয়োগ করা হয়েছে। এমন অভিযোগ জানার পরেও কী ভাবে সুপার নিউমারিক পোস্টের অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভা?