বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:সন্দেশখালির ভিডিও অরিজিনাল। বসিরহাট আদালতে পেশ করার সময় সাংবাদিকদের সওয়ালে বিস্ফোরক শাহজাহান শেখ।
সন্দেশখালি বাঘ এবার ভাইরাল ভিডিও নিয়ে মুখ খুললেন। তাঁর বরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রকাশ করা সেই ভাইরাল ভিডিওতে বিজেপি নেতা দাবি করেছেন, মিথ্যে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
তারপরেই শাহজাহান শেখের গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে বলেছিলেন শাহজাহান শেখকে গ্রেফতারি নিয়ে যে তৎপরতা কেন্দ্রীয় এজেন্সি দেখিয়েছে সেটা না করলেও পারত। আরও কয়েকদিন সময় নিয়ে পদক্ষেপ করতে পারত। এদিকে ভোটের মধ্যে সন্দেশখালির বিজেপি নেতার এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
কয়েকদিন আগেই সন্দেশখালির বিজেপি নেতার স্টিং অপারেশনের ভিডিও ভাইরাল করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তৃণমূল কংগ্রেস। তাতে দেখা গিয়েছিল সন্দেশখালির বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়াল বলছেন ধর্ষণের মামলা সাজানো। ২০০০ টাকার বিনিময়ে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছিলেন বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। এমনকী সন্দেশখালিতে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনাও সাজানো। সেখানে অস্ত্র রেখে আসা হয়েছিল।
েসই ভিডিও দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারপরেই তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে করে সরাসরি বিজেপিকে নিশানা করে বলেছেন, বাংলা বিরোধী ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি। এই ঘটনা নির্লজ্জতার সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। পাল্টা বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করে হয়, পুরোটাই তৃণমূল কংগ্রেসের পরিকল্পনা। এই ঘটনায় ভাইপো অর্থাৎ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এবং আইপ্যাকের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এই ভিডিওতে যে বিজেপি নেতাকে দেখা গিয়েছে সেই গঙ্গাধর কয়াল ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের কাছে এভিযোগ জানিয়েছেন। এবং তিনি দাবি করেছেন আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স ব্যবহার করে তাঁর কণ্ঠস্বর ব্যবহার করা হচ্ছে। এই ভিডিওতে তিনি কোনও কথা বলেননি। পুরোটাই পরিকল্পনা করে করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
এদিকে সন্দেশখালির বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র অভিযোগ করেছেন শাহজাহান শেখ গ্রেফতার হলেও এখনও তাঁদের ভয় দেখানো হচ্ছে।
সন্দেশখালি আন্দোলনের মূল কারণ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা শাহজাহান শেখ। ইডির অফিসারদের উপর হামলা চালিয়েছিলেন তাঁরই দলবল। তদন্তে নেমে সিবিআই জানতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস নেতার ফোন পেয়েই তাঁর অনুগামীরা হামলা চালিয়েছিল এজেন্সির অফিসারদের বি্রুদ্ধে। তারপর থেকে প্রায় ৫৬ দিন ফেরার ছিলেন শাহজাহান শেখ। পুলিশও তাঁকে গ্রেফতার করেনি। অবশেষে আদালতের চাপে ৫৮ দিনের মাথায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
শাহজাহান শেখের বিরুদ্ধে জমি দখল থেকে ধর্ষণ, মারধর, খুন একাধিক অভিযোগ করেছেন সন্দেশখালির বাসিন্দারা। শাহজাহান শেখ এবং তাঁর দলবল সন্দেশখালিতে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি্ করে রেখেছিল সেই অভিযোগে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামের মহিলারা। শাহজাহান শেখের সাগরেদ শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারদের গ্রেফতার করা হয়েছে।