বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: বর্ধমান-দুর্গাপুরে প্রচারের একেবারে শেষ লগ্নের রোড শোয়ের পরে চা-চক্রে পুলিশকে ফের একবার নিশানা করলেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ।
সন্দেশখালিতে ভাইরাল ভিডিও কাণ্ডে বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের বিরুদ্ধে পুলিশের এফআইআর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুলিশ তো পা-চাটা কুকুরের মতো। আর তৃণমূলের এখন কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি।
দিনের পর দিন মেয়েদেরকে রাতের বেলা পার্টি অফিসে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, পুলিশ তো তখন শাহজাহানের জুতো বয়ে নিয়ে যেত। দিলীপ ঘোষ বলেন, তিনিও সন্দেশখালি গিয়েছিলেন এবং চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন তৃণমূলের গুণ্ডাদের। তিনি বলেন, সব সত্যি বেরিয়ে পড়ার পরেও তৃণমূল সরকারের সাহস নেই শেখ শাহজাহান এবং তাদের শাগরেদদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।
দিলীপ ঘোষ বলেন, এই দুর্গাপুরেও বেশ কিছু দাগী আসামী তৃণমূলের নেতা। তারা জামিন না নিলেও পুলিশ তাদের গায়ে হাত দেওয়ার সুযোগ পায় না। সন্দেশখালির ঘটনা সাজানো, তৃণমূলের এই দাবি প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, একটা সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন চাকরি চুরি হয়নি। কিন্তু এখন আদালত কী বলছে?
দিলীপ ঘোষ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, সন্দেশখালিতে কিছু হয়নি। কিন্তু হাজার হাজার মহিলা রাস্তায় জুতো নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এটা চারি দিকে ছড়িয়ে পড়বে ভোটের পরে, হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী।
আগে মেদিনীপুরের সাংসদ ছিলেন আর এবার বর্ধমান দুর্গাপুরে প্রার্থী, কোনটা বেশি চ্যালেঞ্জিং? এব্যাপারে দিলীপ ঘোষ বলেন, মেদিনীপুরে সংগঠনকে জোরদার করেছিলেন। গ্রামে-গঞ্জে গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে ভোট চেয়েছিলেন। তিনি বলেন, সেই সময় রাজ্য সভাপতি থাকায় সারা রাজ্যে প্রচার করে মাত্র কুড়ি দিন সময় পাওয়া গিয়েছিল। এবার বর্ধমান-দুর্গাপুরে দেড় মাস সময় পাওয়া গিয়েছে।
দিলীপ ঘোষ বলেন, জেতা আসন। তবে ব্যবধান বাড়াতে হবে। দলের কর্মীরাও খুবই পরিশ্রম করছেন।
দিলীপ ঘোষ বলেন, তিনি বাধা মানেন না। কেউ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেনি। তবে তৃণমূল আছে, তা বোঝাতে কোথাও জয় বাংলা স্লোগান এবং কালো পতাকা দেখানোর চেষ্টা হয়েছে। তৃণমূলের প্রচারে এসে দেব বলেছিলেন, দিলীপ ঘোষকে মেদিনীপুরে ফিরে যেতে হবে। এব্যাপারে দিলীপ ঘোষ বলেন, মেদিনীপুরে ছেলে, তাই মেদিনীপুরে তো ফিরতেই হবে। তবে উনি (দেব) কোথায় যাবেন?
কোথাও কি পুলিশ বাধা দিচ্ছে? এই প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, পুলিশের সহযোগিতা চাই না, বাধাও চাই না। তিনি বলেন, বিজেপির যা সাংগঠনিক শক্তি রয়েছে, তাতে তারা ভোট করিয়ে নিতে পারে। এটা আগামী ১৩ মে দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।