বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সংঘ এবং ইসকনকে ধমকাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার পুরুলিয়ায় দলের প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতর সমর্থনে করা সভা থেকে এমনটাই অভিযোগ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছেন, সাধু-সন্তদের অপমানের জবাব ভোটে পাবেন। তিনি আরও বলেছেন, সারা বিশ্বে সেবার জন্য তিন তিন সংগঠন সমাদৃত।
ভোট ব্যাঙ্ককে খুশি করতে আধ্যাত্মিক গুরুদের অপমান করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। রবিবার তিন সভার মধ্যে পুরুলিয়ায় প্রথম সভা করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদীর পরবর্তী দুই সভা রয়েছে বিষ্ণুপুর এবং মেদিনীপুরে।
শনিবার গোঘাটের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, যেমন আমরা সবাই সমান নই, তেমনই সব সাধুরা সমান নন। তিনি বলেছেন ভারত সেবাশ্রম সংঘকে তিনি শ্রদ্ধা করতেন। কিন্তু বহরমপুরে কার্তিক মহারাজ বলে একজন রয়েছেন, তিনি তৃণমূলের এজেন্ট বসতে দেবেন না, বলেছেন। তাই তাঁকে সাধু বলে মনে করেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন সাধুরা সরাসরি রাজনীতি করে দেশের সর্বনাশ করছেন। তিনি চিহ্নিত করেছেন, কে কে তা করেছেন।
গোঘাটের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আসানসোলে একটা মিশন রয়েছে। তিনি এইসব সংগঠনকে অনেক সাহায্য করেছেন বলেও দাবি করেন। ইস্কনকে নদিয়ায় সাতশো একর জমি দেওয়ারও দাবি করেন তিনি। তারপর বলেন, দিল্লি থেকে, বিজেপিকে ভোট দিতে নির্দেশ আসছে। তিনি দাবি করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে স্বামী বিবেকানন্দের বাড়িটাই থাকত না।
প্রধানমন্ত্রী মোদী এদিনের পুরুলিয়ার সভায় শনিবারের মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বাংলার মানুষকে ভয় দেখাতে সব সীমা অতিক্রম করেছে তৃণমূল সরকার। তিনি বলেন, দেশ দুনিয়ার সবাই চেনেন ইসকন, ভারত সেবাশ্রম সংঘ এবং রামকৃষ্ণ মিশনকে। রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বিবেকানন্দ। এই সংগঠনগুলি বিদেশে ভারতের নাম উজ্জ্বল করে। সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে রয়েছে এদের ভফক্তরা। কিন্তু এই সংগঠনগুলিকেই প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে হুমকি দিচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, নিজেদের ভোট ব্যাঙ্ককে খুশি করতে , তোষণ করতে তৃণমূল এত নিচুতে নেমেছে। বাংলার লক্ষ লক্ষ মানুষের ভক্তি ও ভাবাবেগ নিয়ে এরা ভাবে না। তিনি বলেন, স্বামী বিবেকানন্দ, প্রভুপাদ এবং প্রণবানন্দ মহারাজের অপমান দেশ সহ্য করবে না। সাধারণ মানুষের উদ্দেশে তিনি বলেন, যে সরকার বাংলার মানুষের সংস্কৃতিকে সম্মান করে না, তাদের ভোট দিয়ে সাজা দিন, যাতে তারা আর সাধু-সন্তদের অপমান করতে না পারে।