বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:প্রবল চাপে পড়ে ছজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। এদিকে রামকৃষ্ণ মিশনের জমি দখল করবার চেষ্টার অভিযোগে কেজি এফ গ্যাং এর সদস্যরা কতখানি কার্যকরী ছিল সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রামকৃষ্ণ মিশনের জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ এর খবর এখন গোটা শিলিগুড়িতে ছড়িয়ে পড়েছে। উত্তেজনা বাড়ছে গোটা এলাকা জুড়েই। মঠের সননাসীদের হুমকি এবং তাদের অপহরনের চেষ্টার অভিযোগে এদিন ছজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিন বিজেপী বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ এদিন রামকৃষ্ণ মিশনের জমি দখলের চেষ্টার কারনে তৃণমূল কে একহাত নেন। বিধায়ক জানান একটা দল ঠিক কতখানি নীচে নামতে পারে তৃণমূল কংগ্রেসকে দেখলে বুঝতে পারা যায়। মুখ্যমন্ত্রী সবকিছু জেনেও একেবারে চুপচাপ আছেন সেটাই আশ্চর্যের বিষয়। একটা রাজ্যের আইনমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা সেটা ভেবেই আমার আশ্চর্য লাগছে কিভাবে এই ঘটনা ঘটল। কেজি এফ গ্যাং এর সাথে তৃণমূল কংগ্রেস এর যোগাযোগ আছে কি না তা তৃণমূল কংগ্রেস ই বলতে পারবে। অপরাধ বাড়তে বাড়তে কোথায় চলে গেছে সেটা তৃণমূলকে দেখেই বুঝতে পারা যায়। এই ঘটনার সাথে তৃণমূল এর সব নেতাই জড়িত আছেন। ওরা সরকারে আছেন যা খুশী করতে পারেন, আমরা শুধুমাত্র প্রতিবাদ করতে পারি মাত্র। এদিন শিলিগুড়ির রামকৃষ্ণ মিশন এলাকা জুড়ে কড়া পাহাড়া বসিয়েছে পুলিশ। কাউকে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখলেই জিঞ্জাসাবাদ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মেয়র গৌতম দেব জানিয়েছেন যা হয়েছে একেবারেই অন্যায়। আমরা এই সব একেবারেই মেনে নেবো না , দোষীরা অবশ্যই শাস্তি পাবে। এদিন গোটা শিলিগুড়ি জুড়েই ক্ষোভ বাড়ছে রামকৃষ্ণ মিশনের জমি দখলকে কেন্দ্র করে। এত নামকরা প্রতিষ্ঠানের সাথে কেন এইভাবে অন্যায় করা হল সেটা নিয়ে ক্ষোভ বেড়েছে সাধারন মানুষের মনে।