বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:৪২-এ ৪২ দাবি করে ২০১৯-এ ধাক্কা খেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবারও সেই ধাক্কা জারি থাকবে। এমনই বলছে বুথ ফেরত সমীক্ষা। খুব বেশি হলে বাংলায় ১৬ থেকে ২০টি আসন পাবে তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে বিজেপি পাবে ২১ থেকে ২৬টি আসন।
গত লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি পেয়েছিল ১৮টি আসন। এবার অমিত শাহ থেকে মোদী বাংলায় প্রচারে এসে ৩০-র বেশি আসন পাওয়ার দাবি করেছিলেন। ৩০টি আসন না পেলেও তার কাছাকাছি গেরুয়া শিবির পৌঁছে যাবে বলে মনে করছে বুথ ফেরত সমীক্ষা। বুথ ফেরত সমীক্ষার এই ফলাফল মিলে গেলে চাপ বাড়বে শাসক দলের।
২০১৯-র লোকসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের আসন সংখ্যা উল্লেখ যোগ্য হারে কমেছিল। বড় অঙ্কের আসন পেয়েছিল বিজেপি। ১৮টি আসন বিজেপির পাওয়া চমকে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসকেও। যদিও একুশের বিধানসভা ভোটে আবার ধরাশায়ী হতে হয়েছে বিজেপিকে। লোকসভা ভোটে আসন সংখ্যা বাড়িয়েও বিধানসভা ভোটে বিজেপি ধাক্কা খেয়েছিল।
এবারে বিজেপি দাবি করেছে তারা ৩০টির বেশি আসন পাবে। কিন্তু সত্যিই সেটা সম্ভব হবে কিনা সেটাই দেখার। কারণ একাধিক কেন্দরে এবার হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে বাংলায়। বিশেষ করে বর্ধমান-দুর্গাপুর, দুই মেদিনীপুর জেলাতেও হাড্ডাহড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও লড়াইটা সহজ হবে না তৃণমূল কংগ্রেস বা বিজেপি কারোর পক্ষেই। এবার মতুয়া শিবিরেও তেমন সুবিধাজনক অবস্থানে নেই দুই দলই।
প্রথম থেকে বিজেপি বাংলা নিয়ে একটু বেশি তৎপর ছিল। সপ্তম দফার ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রী মোদী দাবি করেছিলেন বাংলায় সবচেয়ে ভাল ফল করবে বিজেপি। অর্থাৎ বাংলা থেকে সবচেয়ে বেশি আসন পাবে গেরুয়া শিবির। গতবারে ১৮টি আসন যে আশা দেখিয়েছিল বিজেপিকে বংলায় এবার সেই আশা বিজেপি পূরণ করতে পারবে বলে দাবি করছিলেন তিনি। টাইমসের বুথ ফেরত সমীক্ষা যেদিকে ইঙ্গিত করেছে তাতে মোদীর সে আশা অনায়াসেই পূরণ হবে।
এই সমীক্ষা মিলে গেলে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে যে যথেষ্ট চাপ বাড়বে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ মোদী আগেই নির্বাচনী প্রচারে বলে গিয়েছেন তৃতীয়বারের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে বা ফের বিজেপি ক্ষমতায় এলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান আরও কঠোর হবে। দুর্নীতিগ্রস্তরা কেউ রেহাই পাবেন না। এজেন্সির তৎপরতা আরও বাডবে। এমনিতেই একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে কেন্দ্রীয় এজেন্সি শাসক দলের নেতামন্ত্রীদের গ্রেফতার করেছে বঙ্গে সেই তৎপরতা আরও বাড়়বে।