বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:অপ্রত্যাশিত অনেকটা এগিয়ে গেলো কংগ্রেস ও INDIA জোট। মুখে যাই বলুক না কেন, এমন সাফল্য হয়তো স্বয়ং রাহুল গান্ধীও করেন নি। এই সাফল্যর পিছনে বিশ্লেষকেরা ৭ টি প্রধান কারণ খুঁজে পাচ্ছেন।
১) কংগ্রেস তার হারানো সাম্রাজ্য অনেকটা ফিরে পেলো। ইন্ডিয়া ব্লক গঠন, রাহুল গান্ধীর যাত্রা, মল্লিকার্জুন খাড়গের নেতৃত্ব, জয়রাম রমেশের মিডিয়া সংযোগ, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর বঢরার প্রচারের ফলে ৫২ থেকে একলাফে উঠে ৯৯-তে পৌঁছেছে কংগ্রেস।
২) উত্তর প্রদেশে সর্ব বৃহৎ দল হয়ে উঠলো সমাজবাদী পার্টি। ২০১৯ সালে মাত্র ৫ আসনে জিতেছিল সাইকেল বাহিনী। তবে এবারে বিজেপিকে ধরাশায়ী করে দিয়েছে সমাজবাদী পার্টি। উত্তরপ্রদেশে একাই ৩৭টি আসন জিতেছে সমাজবাদী পার্টি। তাদের সমর্থনে কংগ্রেস সেই রাজ্যে জয়ী ৬টি আসনে।
৩) মমতা ও অভিষেকের খেলা ঘুরিয়ে দিলো মোড়। বিজেপি গতবার ১৮টি লোকসভা আসনে জিতেছিল বাংলা থেকে। আর এবারের লোকসভা ভোটেও বিধানসভা ভোটের ম্যাজিক ধরে রাখল তৃণমূল। বাংলায় ২৯টি আসন পেয়ে বিপুল ভাবে জয়ী তৃণমূল। নিজেদের শক্ত গড়েও বিজেপি আসন হারিয়েছে বাংলায়।
৪) নীতিশের অংক। বিজেপির সঙ্গে মিলে তিনি এবারেও ১২টি আসনে জয়ী বিহারে। এই আবহে তাকে নিয়ে এখন টানাটানি শুরু করেছে ইন্ডিয়া জোট। তাঁকে ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করা হয় রিপোর্টে।
৫) অন্ধ্রে চন্দ্রবাবুর প্রত্যাবর্তন একটা বড়ো ফ্যাকটার। লোকসভা ভোটে দুর্দান্ত ফল করে জাতীয় রাজনীতিতেও প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পেয়েছেন তিনি। তাঁর দল টিডিপি এবারে ১৬টি আসন পেয়েছে। এই আবহে ইন্ডিয়া ব্লকের তরফ থেকে তাঁকে কাছে টানার চেষ্টা শুরু হয়েছে।
৬) মহারাষ্ট্রতে কংগ্রেসের সাফল্য। মহাবিকাশ অঘাড়ি অনেক বেশি আসন পেয়েছে এনডিএ-র থেকে। কংগ্রেস সেই রাজ্যে ১৩ আসন পেয়েছে, উদ্ধবের দল ৯, শরদ পাওয়ারের দল ৮। আর বিজেপি পেয়েছে মাত্র ৯টি আসন।
৭) রাজস্থানে সিপিএম খাটা খুলেছে। গতবার রাজস্থান ক্লিন সুইপ করেছিল এনডিএ। তবে এবারে রাজস্থানের ২৫ আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ১৪, কংগ্রেস ৮, সিপিএম ১টি।