বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তা দিয়ে হেঁটে গিয়েছিলেন। তাঁর হাঁটার সময় রীতিমতো অস্বস্তি হয়েছে। ভাঙাচোরা রাস্তায় অসতর্কভাবে পা পড়েছে। বিরক্ত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বিরক্তি প্রকাশের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই রাস্তা সারাইয়ের কাজ শুরু হয়ে গেল। এমনই দুরন্ত গতিতে প্রশাসনিক মহল ব্যবস্থা নিয়েছে।
পথশ্রী প্রকল্পে রাজ্যে রাস্তা তৈরি হয়েছে এবং হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এই প্রকল্প নিয়ে যথেষ্ট প্রচার করেছেন। কিন্তু তার পরেও দেখা যাচ্ছে গ্রাম বাংলার বহু রাস্তা খারাপ। সেখানে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও সারাইয়ের কাজ হয়নি। নাজেহাল মানুষ প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও সেইসব রাস্তা ঠিক করার কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
তেমনই একটি খারাপ রাস্তার সাক্ষী থাকলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলিপুরদুয়ারে আজ রবিবার মুখ্যমন্ত্রীর জনসভা রয়েছে। শনিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের রাস্তা দিয়ে হাঁটতে শুরু করেছিলেন। মূলত মানুষের সঙ্গে জনসংযোগের উদ্দেশ্যেই মুখ্যমন্ত্রী হাঁটতে থাকেন। শনিবার সেই হাঁটার সময় রীতিমতো বিরক্ত হন মুখ্যমন্ত্রী।
আলিপুরদুয়ার পুরসভার ৩ ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের একটি সংযোগকারী রাস্তা। প্রায় দেড়শো মিটার ওই রাস্তা দীর্ঘ দিন ধরে খারাপ হয়ে রয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। শাসকদলের নেতা থেকে পুরসভার কর্তা ব্যক্তিদের বলেও কোনও কাজ হয়নি। সাধারণ মানুষকে ওই খারাপ রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। মুখ্যমন্ত্রী সেই রাস্তাতেই হাজির হয়েছিলেন।
হাঁটতে গিয়ে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় মুখ্যমন্ত্রীকে। ভাঙাচোরা রাস্তায় অসতর্কভাবে পা পড়ছিল। স্থানীয় প্রশাসন ও জেলাশাসককে দ্রুত ওই রাস্তা সারাইয়ের কথা বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাতেই যেন বিদ্যুতের বেগে কাজ শুরু হল। কয়েক ঘন্টার মধ্যেই দেখা গেল রাস্তা সারাই করার কাজ শুরু হয়েছে। পিচের প্রলেপ পড়ছে রাস্তার উপরে।
কোন জাদুতে এত দ্রুত কাজ শুরু হল? সাধারণ মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে অনুরোধ করেছেন। এবার কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সমস্যাতেই রাস্তার কাজ শুরু হয়ে গেল! উঠছে প্রশ্ন। টেন্ডার কীভাবে এত কয়েন ঘণ্টার মধ্যে পাশ হয়েছে? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরাও। মুখ্যমন্ত্রী না দেখলে, এই রাস্তা কবে সারানো শুরু হত? সেই প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ মানুষ। যদিও স্থানীয় প্রশাসন এই বিষয়ে কোনও কথা বলছে না।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, আলিপুরদুয়ার নতুন জেলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের এই রাস্তা নিয়ে জেলাশাসককে বলা হয়েছে। যাতে দ্রুত রাস্তায় মেরামত করা যায়। পড়ুয়ারা পড়তে আসে। রাস্তা এভাবে থাকলে চলে না।