বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট শুভেন্দু অধিকারীর জন্য ভালো ও খারাপ দুটো বার্তাই দিলেন। বছর ঘুরলে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রাজনৌতিক উত্তাপ ক্রমশ বাড়ছে। সম্প্রতি রাজ্যের দায়ের করা একাধিক এফআইআর বাতিলের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । সেই মামলাতেই স্বস্তিতে বিরোধী দলনেতা। তবে বেড়েছে অস্বস্তিও। একাধিক FIR বাতিলের আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। তার দাবি ছিল ইচ্ছাকৃতভাবে তার নাম টেনে আনা হয়েছে। রাজ্য বারংবার তাঁকে হেনস্থা করতে চাইছে। সেই বক্তব্য জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে এই মামলা ওঠে। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ১৫ টি মামলা খারিজ করে দিল আদালত। তবে তুলে নেওয়া হলো তার রক্ষা কবচ।
আদালতে স্বস্তি মিললেও অস্বস্তি বেড়েছে বিরোধী দলনেতার। কারণ এদিন শুভেন্দু অধিকারীকে দেওয়া রক্ষা কবচ প্রত্যাহার করল আদালত। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার দেওয়া রক্ষা কবচ প্রত্যাহার করলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। ২০২২ সালে শুভেন্দুকে দেওয়া রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করল হাইকোর্ট। ফলত এবার থেকে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে রাজ্যকে আর আদালতের অনুমতির নিতে হবে না। বিচারপতির মন্তব্য, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে রক্ষাকবচের যে রায় ছিল, তা অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ ছিল। কোনও অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ অনির্দিষ্টকাল চলতে পারে না। একইসাথে বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ১৫ টি মামলা খারিজ করেছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি মানিকতলা-সহ মোট পাঁচটি মামলায় সিবিআই এবং রাজ্যের যুগ্ম SIT গঠন করার নির্দেশ দিয়ে আদালত জানিয়েছে, ওই সিটে রাজ্য পুলিশের ও সিবিআইয়ের তরফেও সমান প্রতিনিধি থাকবেন। এদিন বিরোধী দলনেতার ‘রক্ষাকবচ’ প্রত্যাহার করলেও শুভেন্দুর আইনজীবীদের কোনও বক্তব্য থাকলে সোমবারের মধ্যে আদালতে লিখিত আকারে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।