বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:একেই বলে পেটের টান। একটা সৎ আন্দোলনে সকলেই সকলেই চলে আসবে এক ছাতার তলায় – এটাই প্রকৃত আন্দোলনের চরিত্র। তাই দেখা গেল জলপাইগুড়িতে। বামেদের শ্রমিক সংগঠন সিটু (CITU)-র মিছিলে সামিল হলেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা- কর্মীরা। নতুন টোটো রেজিষ্ট্রেশন ফি কেন নেওয়া হচ্ছে? এই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখায় সিটু (CITU)। আর সেই বিক্ষোভ মিছিলে সামিল তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি (INTTUC)-র সদস্যরা। চাঞ্চল্য ছড়াল রাজনৈতিক মহলে। রাজ্য সরকারের নতুন টোটো রেজিস্ট্রেশন নীতির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছেন টোটো চালকরা। শুক্রবার দুপুরে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ বিডিও অফিস ঘেরাও করে তীব্র বিক্ষোভ শুরু করেন ই-রিকশা চালক ইউনিয়নের (সিআইটিইউ) কর্মীরা। প্রথমে বিডিও অফিসের সামনে স্লোগান চলে। তারপর অফিসে ঢোকার অনুমতি না মেলায় বিক্ষোভ আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এরপর টোটো চালকরা পথ অবরোধ করে রাস্তায় বসে পড়েন।
বিডিও অফিস চত্বরে টানা স্লোগানে থমকে যায় প্রশাসনিক কাজ। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। শেষমেশ ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল জয়েন্ট বিডিও-র কাছে ডেপুটেশন জমা দেয়। তবে তৃণমূলের সংগঠনের সদস্যরা হাজির হওয়ায় অনেকেই অবাক। INTTUC-র নেতা-কর্মীদের সাফ কথা, “আমরা এই নির্দেশিকা মানছি না। আমাদের পক্ষে যে কথা বলবে আমরা তাদের পাশে থাকব।” টোটো চালকদের মোট ছ’দফা দাবি ছিল এদিন। দাবিগুলি হল, ই-রিক্সা (টোটো) চালকদের সরকারি স্বীকৃতি ও সামাজিক মর্যাদা প্রদান করতে হবে। টোটো ও ই-রিক্সার মধ্যে আর কোনও ভেদাভেদ থাকবে না। TTEN পোর্টালের মাধ্যমে এককালীন সর্বোচ্চ ৩০০ টাকায় সব গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। শোরুম থেকে বাহন পোর্টালের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে হবে – ইত্যাদি।