বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:অন্তত বিজেপি দাবি করছে, তারা আর অন্য দল থেকে আসা সকলকে খুব সহজে গ্রহণ করবে না। তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো সকলকে আর দলে স্বাগত জানাচ্ছে না। বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে,যারা যোগদান করছেন তাঁরা আদৌ বিজেপিতে (BJP) যোগদান করার যোগ্য কিনা, আদর্শগতভাবে তাঁরা বিজেপির সঙ্গে সহমত কিনা, এসব খতিয়ে দেখা হবে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, এবারে যোগদানে কোনওরকম আড়ম্বর করা হবে না। যে মাপের নেতা, সেই আকারেই যোগদান অনুষ্ঠান করা হবে। সেটাও যতদূর সম্ভব অনাড়ম্বর। একুশের ভোটের আগে বিজেপিতে যোগদান করানোর জন্য রীতিমতো আলাদা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। জেলায় জেলায় যোগদান মেলা করেছিলেন দিলীপ ঘোষরা। কলকাতার দলীয় দপ্তরে নিত্যদিন কোনও না কোনও তৃণমূল নেতা, ছোট বা মাঝারি মাপের সেলিব্রিটি এমনকী সিপিএম বা কংগ্রেসের ছোট নেতাদেরও যোগদান করানো হত। এবার রাজ্য বিজেপি অনেক ভেবে চিন্তেই অন্য দলের বিশেষ করে তৃণমূল থেকে আগতদের গ্রহণ করবে।
একুশের ভোটের আগে চাটার্ড বিমানে করে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে পাঁচ নেতাকে যোগদানের মতো অভাবনীয় কাণ্ডও ঘটেছে। সেসময় বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এখন সময় বদলেছে। এবার দলের পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল। দলবদলের ক্ষেত্রে এবার অনেকটাই সংযম চাইছে বঙ্গ বিজেপি। বঙ্গ বিজেপির ভোট ম্যানেজাররা মনে করছেন, অনেক ক্ষেত্রেই দলবদলুদের বাড়বাড়ন্তের জন্য নিজেদের মূল আদর্শ থেকে সরে যাচ্ছে গেরুয়া শিবির। দলের অনেক নেতা গেরুয়া ভাবধারার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছেন না। ফলে দলের প্রচারে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বলা ভালো, অন্যদল থেকে ‘বেনোজল’ ঢোকা আটকাতে চায় গেরুয়া শিবির। সেকারণেই এবার অন্য দল থেকে দলে নেওয়ার আগে নেতাদের যাচাই করে নেওয়া হবে।