বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: আগের দিন ন্যাজাট থেকে ফিরে যেতে হয়েছিল ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে। কিন্তু এদিন সন্দেশখালিতে পৌঁছতে কৌশল বদল করেন তিনি। শনিবার বেলা এগারোটার কিছু পরে তিনি পৌঁছে যান সন্দেশখালির একটি গ্রামে। প্রথমে পুলিশ দেখা না গেলেও, পরবর্তী সময়ে কয়েকজন পুলিশ কর্মীকে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়।
এরপর মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় এরপর টোটোয় চেপে গ্রামে ঢোকেন। কিন্তু কোনও ভাবেই তিনি সংবাদ মাধ্যমকে সঙ্গে নিয়ে গ্রামে ঢুকতে চাননি। পরে সঙ্গে যাওয়া অন্য দলীয় কর্মীদের নিয়ে গ্রামের ভিতরে ঢোকেন তিনি। দিন তাঁর সঙ্গী হয়েছেন, ডিওয়াইএফআই-এর ধ্রুবজ্যোতি সাহা এবং উত্তর ২৪ পরগনায় সিপিআইএম নেতা পলাস দাস।
সাধারণভাবে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে সালোয়ার পরতে দেখা যায়। কিন্তু এদিন তিনি গিয়েছেন শাড়ি পড়ে। মুখের অধিকাংশটাই ঢাকা ছিল ওড়না দিয়ে। জানা গিয়েছে, আগে থেকে যে রুটে তাঁর যাওয়ারপ কথা ছিল সেই রুট ও সময় পরিবর্তন করেন তিনি। দলের কয়েকজন সেই কথা জানতেন। তাঁর মোবাইল ছিল সুইচড অফ।
সিপিআইএম কর্মীরা দাবি করেছেন, শাড়ির ওপরে থাকা সাদা ওড়নায় মুখ ঢাকা থাকায় পুলিশ কর্মীরা তাঁকে চিনতে পারেননি। পুলিশের নজরদারি এড়িয়ে নৌকায় চেপে তিনি সন্দেশখালিতে চলে যান। এদিকে এদিন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় সন্দেশখালিতে পা দেওয়ার পরে সেখানে সিপিআইএমের পতাকা উড়তে দেখা গিয়েছে। সিপিআইএম কর্মীরা অভিযোগ করেছেন, ২০১১ সালের পর থেকে এলাকায় মিছিল-মিটিং তো দূর, পতাকা তুলতে বাধা দিত শাহজাহানের বাহিনী।
জানা গিয়েছে, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় এদিন গ্রামের মহিলাদের ওপরে যে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে, তা শুনতেই সেখানে গিয়েছেন। বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে তিনি নির্যাতিতা মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন। ইতিমধ্যেই তিনি পাত্রপাড়া ও পুকুরপাড়ায় ঘুরেছেন। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলার পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে শুক্রবারের পরে শনিবারেও উত্তর সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকা। শুক্রবার শেখ শাহজাহানের অনুগামী বলে পরিচিত তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির বাড়িতে হামলা হয়। তাঁকে ধরেও মারধর করা হয়। আর শনিবার শেখ শাহজাহানের অপর অনুগত হালদার পাড়ার বিনয় সর্দারের বাড়িতে হামলা হয়। পুলিশ গিয়ে হামলার সঙ্গে জড়িত কয়েকজন গ্রামবাসীকে আটকও করে।
অন্যদিকে শুক্রবারের পরে শনিবারেও সন্দেশখালির বিভিন্ন জায়গায় গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একটি দল।