বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে মামলায় বড় রায় দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। মুসলিম পক্ষ মসজিদের গর্ভে পুজো করার বিরোধিতা করে যে আবেদন করেছিল তা খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। হিন্দুদের মসজিদের গর্ভে পুজো-প্রার্থনা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আবেদন খারিজের এই রায় স্থানটির মালিকানা ও ধর্মীয় অধিকার নিয়ে দীর্ঘ আইনি লড়ইয়ের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকল।
এর আগে এআইএমআইএম সভাপতি আসাদউদ্দিন ওয়েইসি বারাণসী আদালতের সমালোচনায় সরব হন। কারণ সেখানে পুজো-প্রার্থনার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সেই রায়ের বিরুদ্ধেই মুসলিম পক্ষ উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে আপিল করে। সেই আবেদনকেই খারিজ করে রায় দিয়েছেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি রোহিত রঞ্জন আগরওয়াল।
এই রায়ের পর আইনজীবী প্রভাস জানিয়েছেন, এই রায় সনাতন ধর্মের পক্ষে বড় রায়। নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে মুসলিম পক্ষ যে রায় দিয়েছে তা এদিন হাইকোর্ট খারিজ করে দিয়েছে। ফলে জ্ঞানবাপীর তেহখানায় পুজোপাঠ চলবে। তবে মুসলিম পক্ষ ফের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে পারে। এর জন্য নতুন করে আবেদন করতে হবে।
গত ৩১ জানুয়ারি বারাণসী আদালত রায় দেয় যে জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরে দক্ষিণে তেহখানায় যা ব্য়াস তেহখানা নামে পরিচিত, সেখানে পুজো-পাঠ করতে পারবে। পুজোপাঠ করাতে জেলাশাসককে নির্দেশ দেওয়া হয় ও কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পূজারী বাছতে বলা হয়।
এই রায়ের বিরুদ্ধেই অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি উচ্চ আদালতে আপিল করে। বস্তুত, জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরে চারটি তেহখানা রয়েছে। তার একটিতেই পুজোপাঠের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। একটিতে ব্য়াস পরিবার বসবাস করত। মসজিদ কমিটি সেখানে তাদের পুজোপাঠে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। অন্যদিকে হিন্দু কমিটি দাবি করে, ব্যাস পরিবার সেখানে পুজোপাঠ চালাত। ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত সেখানে আরাধনা চলেছে নিয়মিত। পরে প্রশাসনিক নির্দেশে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
রায়ের পর মুসলিম পক্ষ সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা ভেবেছেন। হিন্দু পক্ষ জানিয়েছে, যদি তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন তাহলে তাঁরা ক্যাভিয়েট দাখিল করবেন। ইতিমধ্যে ওই জায়গা নিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণে সমীক্ষা ও আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার সমীক্ষাও হয়ে গিয়েছে।
হিন্দু পক্ষের অভিযোগ, অতীতে এই জায়গায় বড় মন্দির ছিল। সেটিকেই ভেঙে মসজিদ তৈরি করা হয়েছে। মসজিদের নিচে শিবলিঙ্গ ও অন্যান্য মন্দিরের ভগ্নাবশেষের প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে বলে আগে বহুবার দাবি করা হয়েছে।