বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: শাহজাহান শেখের গ্রেফতারি আটকে রেকেছে আদালতই। তিনি যে মিথ্যে বলেলনি আজ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তার প্রমাণ দিলেন শাসক দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে সন্দেশখালি নিয়ে ইডির করা মামলার নির্দেশিকা প্রকাশ করেছিলেন।
সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার ঘটনার পর সিট গঠন করেছিল রাজ্য পুলিশ। সেই সিটের তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কারণ আদালতে ইডির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল যে এই তদন্ত রাজ্য পুলিশ হস্তক্ষেপ করলে তাঁদের কাজ ব্যহত হবে। ইডির প্রবল আপত্তিতেই রাজ্য পুলিশের সিটের তদন্তে স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন শাহজাহান শেখকে রাজ্য পুলিশ গ্রেফতার করতে পারছে না কারণ আদালত হাত পা বেঁধে রেখেছে। আদালতের স্থগিতাদেশের কারণেই শাহজাহান শেখকে এখনও ধরা যায়নি। আদালত স্থগিতাদেশ তুলে দিলে ১০ দিনের মধ্যে গ্রেফতার হয়ে যাবে শাহজাহান শেখে। রাজ্যের দুই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং সুজিত বসু সন্দেশখালিতে গিয়ে গ্রামবাসীদের সেকথাই বুঝিয়ে ছিলেন।
অভিষেকের এই দাবির পর গতকাল সন্দেশখালি নিয়ে হাইকোর্টের স্বতোঃপ্রণোদিত মামলা প্রধান বিচারপতি জানান কোনও স্থগিতাদেশ শাহজাহানের গ্রেফাতািরর উপরে আদালত দেয়নি। শাহজাহান শেখকে গ্রেফতারিকে কোনও বাধা নেই। সেই সঙ্গে এই মামলায় শাহজাহান শেষকে যুক্ত করার জন্য পাবলিক নোটিস জারি করতে বলা হয়েছে। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির এই নির্দেশের পরেই অভিষেকের আগের দিনের দাবি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল।
হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন সাত দিনের মধ্যে গ্রেফতার হবে শাহজাহান শেখ। গত ৫৪ দিন ধরে অধরা শাহজাহান শেখে। ইডির উপরে হামলার ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা সন্দেশখালির বাঘ। প্রথমে রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল শাহজাহান শেখের বিরুদ্ধে কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। পরে আদালতে সেই রাজ্যপুলিশই জানিয়েছে গত ৪ বছরে শাহজাহান শেখের বিরুদ্ধে ৪৩টি FIR দায়ের হয়েছে। তাতে খুন, জমি দখল থেকে শুরু করে শ্লীলতাহানী একাধিক অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু চার্জশিটে কোনও নাম নেই।
আদালতের নির্দেশের পরেও কিন্তু এখনও অধরা শেখ শাহজাহান। কোথায় রয়েছেন তিনি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। বিজেপি নেতারা দাবি করেছেন কালীঘাটের আশ্রয়ে রয়েছেন শাহজাহান শেখ। কারণ সন্দেশখালির টাকা কালীঘাটে পাঠাতেন শাহজাহান। সেকারণে তাঁকে আড়াল করে রাখা হয়েছে। কেন এতো অপরাধের পরেও শাহজাহান শেখকে গ্রেফতার করা হল না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।