বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:বাবুল সুপ্রিয় আসানসোল লোকসভা থেকে পদত্যাগের পর তৃণমূল সেখানে বিহারীবাবু শত্রুঘ্ন সিনহাকে সেখানে দাঁড় করায় এবং জিতিয়ে আনে। তৃণমূল এখনও এবারের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা না করলেও, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তারা শত্রুঘ্ন সিনহাকে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেই খবর।
তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিম বর্ধমানের দলীয় নেতাদের সঙ্গে হওয়া বৈঠকে শত্রুঘ্ন সিনহার ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন। সেক্ষেত্রে আসানসোল থেকে শত্রুঘ্ন সিনহাকে তৃণমূল প্রার্থী করবে, তা ধরে নেওয়া যায়। প্রসঙ্গত ২০১৪ ও ২০১৯-এ বিজেপি আসানসোল আসনে জয় পায়। কিন্তু ২০২২-এর উপনির্বাচনে তিনলক্ষের বেশি ভোটে শত্রুঘ্ন সিনহা বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালকে হারিয়ে দেন।
অন্যদিকে লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসতেই আসানসোল আসনে স্থানীয় বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল ও প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির নাম নিয়ে জল্পনা চলছে। আসানসোল লোকসভা আসনে বাংলা ও অবাঙালি ভোটার প্রায় সমান-সমান। সেখানে হিন্দিভাষী ভোটারদের ওপরে ভাল প্রভাব রয়েছে প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারির।
এই পরিস্থিতিতে শাসক দল তথা শত্রুঘ্ন সিনহা বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে বিজেপি আসানসোল আসনে বড় কোনও তারকাকে প্রার্থী করতে পারে। সেক্ষেত্রে মিঠুন চক্রবর্তী তাঁদের বড় বিকল্প। ২০২১-এ বিধানসভা নির্বাচনের সময় মিঠুর চক্রবর্তী রাজ্য জুড়ে ব্যাপক প্রচারে সামিল হয়েছিলেন।
তবে বলে রাখা ভাল, একদিকে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল যেমন আসানসোল আসন নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি, তেমনই বিজেপিও এব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। সাম্প্রতিক সময়ে শত্রুঘ্ন সিনহা কলকাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্না মঞ্চে যোগ দিয়ে বিজেপিকে তীব্র নিশানা করেছিলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিশানা করে বলেছিলেন, তিনি মূল বিষয়গুলিতে আলোকপাত করেন না, কিন্তু অন্য সব বিষয়ে কথা বলেন।
তৃণমূল আসানসোল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নিলেও ঘাসফুল শিবিরের একটি অংশ বলছে, আসানসোলে প্রচুর সংখ্যক হিন্দি ভোটার থাকায় এবং স্থানীয় ভাবে তৃণমূলের অভ্যন্তরে দ্বন্দ্ব থাকায় বিহারীবাবু শত্রুঘ্ন সিনহা ছাড়া তাদের হাতে কোনও বিকল্প নেই। সেই কারণ সব জল্পনা জারি রেখে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে মিঠুন চক্রবর্তীকে রাজ্যসভায় পাঠান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মনোমালিন্যের কারণে রাজ্যসভা থেকে পদত্যাগ কেরন মিঠুন। মধ্যে কিছুদিন রাজনীতি থেকে দূরে থাকার পরে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় বিজেপির হয়ে প্রচার করেছিলেন তিনি। বলেছিলেন তিনি আপসের রাজনীতি করেন না।