বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা নির্বাচন। বিহারে জনসুরজ যাত্রায় ব্যস্ত ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। এবারের লোকসভা নির্বাচনে তিনি নিজে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কোনও ইঙ্গিত তিনি এখনও দেননি। তবে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল কিংবা বিভিন্ন রাজ্যের ফলাফল নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কোন দলের কোথা দুর্বলতা তা নিয়ে মন্তব্য করছেন তিনি।
লোকসভা নির্বাচনের জন্য বিজেপি তাদের ১৯৫ জনের প্রথম তালিকা এবং কংগ্রেস ৩৯ জনের প্রথম তালিকা প্রকাশ করেছে। সামনেচর সপ্তাহেই নির্বাচন কমিশন লোকসভা নির্বাচনের সূচি ঘোষণা করে দিতে পারে। তার আগে চূড়ান্ত ব্যস্ততা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে।
ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরকে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে তিনি প্রশ্নের উত্তরে বিজেপির শক্তি ও দুর্বলা নিয়ে বিশদে উল্লেখ করেছেন। রাজনৈতিক দলের যুক্তিগুলি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেছেন, সাধারণ মানুষ লোকসভা নির্বাচনে এক দলকে এবং বিধানসভা নির্বাচনে এক দলকে ভোট দিচ্ছেন।
তিনি বলেছেন, যদি গ্রামে যাওয়া যায় এবং সাধারণ মানুষকে এই পরিবর্তনের মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন নিয়ে প্রশ্ন করা যায়, তাহলে দেখা যাবে তাঁরা চান না একটি দলের হাতে ক্ষমতা থাকুক। তাই তাঁরা এইভাবেই পরিবর্তন করছেন।
প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, দেশ এর আগে ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ এবং সেখান থেকে গণতন্ত্রের বিপদ প্রত্যক্ষ করেছে। বিজেপিও তাদের ক্ষমতা শক্তিশালী করছে। কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলির অপব্যবহারের প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়েও এটা হয়েছিল।
তিনি বলেছেন, কেউ যদি একটি দলের আদর্শের প্রতি অনুগত থাকেন, তাহলে সেই দলের ভুলগুলি মেনে নিতে হবে। বিজেপির শক্তি সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, এই দলের থেকে আরএসএসের শক্তিশালী সংগঠন রয়েছে, যা বিজেপিকে সাহায্য করছে।
ভবিষ্যতে নির্বাচনে বিজেপিকে প্রভাবিত করতে পারে এমন দুর্বলতা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, বিজেপির সব থেকে বড় দুর্বলতা হল প্রধানমন্ত্রী মোদীর ওপরে নির্ভরতা। মোদীর পরে বিজেপির কে নেতা হবেন, তা কেউই জানে না। তবে তিনি নিশ্চিত, মোদীর পরে যিনি বিজেপির নেতা হবেন, তিনি মোদীর থেকে বেশি ডানপন্থী হবেন।
আদমশুমারির ভিত্তিতে সংরক্ষণের বাস্তবায়নের দাবি প্রসঙ্গে প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, আঞ্চলিক দলগুলি জাতিভিত্তিক আদমশুমারিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে তারা উপকৃত হতে পারে। কিন্তু এব্যাপারে জাতীয় দলগুলির তেমন কোনও সুবিধা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এব্যাপারে মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড় নির্বাচনে কংগ্রেসের অবস্থার কথাও তিনি তুলে ধরেছেন।