বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: বিচারপতি থাকাকালীন আমার চোখে ভয়ঙ্কর দুর্নীতি ধরা পড়ে। যারা কম নম্বর পেয়েছেন কীভাবে টাকায় বিনিময়ে চাকরি পেয়েছে তা দেখেছি। যোগ্যদের চাকরি দেওয়া হয়নি। একেবারে দুর্বৃত্তদের দল বলে তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ শানালেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) ।
আজ শনিবার উত্তরবঙ্গে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi In West Bengal) । বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই এদিন সেই সভায় প্রথম যোগ দেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। আর সেই মঞ্চ থেকেই ‘নো ভোট টু তৃণমূল’ স্লোগান দেন তিনি।
শুধু নিয়োগ নয়, প্রধানমন্ত্রীর সভায় যোগ দিয়ে এদিন খাদ্য থেকে আবাস একাধিক ইস্যুতে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ শানান বিজেপি ‘নেতা’ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পাশাপাশি সন্দেশখালিতে কীভাবে মহিলাদের উপর অত্যাচার হয়েছে সেই বার্তা দেন।
বলেন, বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থাকে শেষ করে দিয়েছে তৃণমূল সরকার। দুর্বৃত্তদের দল। খাদ্য থেকে শিক্ষা, সমস্ত মন্ত্রীরা এখন জেলে। এদের শিক্ষা দিতে হবে। আর তা দেওয়ার সময় এসে গিয়েছে বলে দাবি অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির। আর তাই বাংলার ৪২ টি আসনেই বিজেপিকে ভোট দেওয়ার আবেদন করেন তিনি।
অন্যদিকে তৃণমূলে ভাঙনের কথাও এদিন উঠে আসে প্রাক্তন বিচারপতির বক্তব্যে। বলেন, জানতে পারছি তৃণমূল ভিতর থেকে ভাঙতে শুরু করেছে। তৃণমূলকে সম্পূর্ণ রূপে ভেঙে দিতে হবে। যাতে আগামীদিনে অর্থাৎ ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে ওরা আর দাঁড়াতে না পারে বলেও আক্রমণ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
আর এরপরেই ‘নো ভোট টু তৃণমূল’ স্লোগান দেন তিনি। এর আগে শুভেন্দু অধিকারীর মুখে এই স্লোগান শুনেছিল বাংলার মানুষ। এবার সেই স্লোগান বিজেপি নেতার মুখেও। অন্যদিকে এদিন পালটা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল।
নীতিহীন সুবিধাভোগী একজন মানুষ বলে আক্রমণ শানান প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন। বলেন, বাংলার মানুষ ওনাকে চিনে গেছে। বিচার ব্যবস্থাকে দিনের পর দিন কিলসিত করেছেন। এমনকি বিচারপতির চেয়ারে বসে পক্ষপাতদুষ্ট রায় এবং আচরণ করে গিয়েছে বলেও আক্রমণ করেছেন তৃণমূল নেতা।
বলে রাখা প্রয়োজন, এদিন সকালে উত্তরবঙ্গে নেমেই তৃণমূলকে আক্রমণ শানান বিজেপি নেতা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। একই সঙ্গে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। তাঁর কথায়, রাজ্যের এখন সাংঘাতিক খারাপ অবস্থা। এই রাজ্যে কোনো আইনশৃঙ্খলা নেই। উপরমহলের নির্দেশে সাধারণ মানুষদের হয়রানি করা হচ্ছে। রাজ্যে ৩৫৬ জারি দরকার।
সন্দেশখালিতে যা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী একদিনেও যাননি এবং সেখানকার সাংসদ গানবাজনা করছেন। মুখ্যমন্ত্রী গোল্লা পাবেন। লোকসভা নির্বাচনে কত সিট পাবে বিজেপি তা বলতে পারব না। তবে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে অসম্ভব ভালো ফল হবে এবং তৃণমূল মুছে যাবে।