বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টে মঙ্গলবার সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের এজলাসে এদিন শেখ শাহজাহানের জামিনের বিরোধিতা করেন ইডির আইনজীবী। এদিকে পাঁচ জানুয়ারি ইডির আধিকারিকদের ওপরে হামলার পর থেকে ছাপ্পান্ন দিন সন্দেশখালির ‘বাঘ’ কোথায় ছিল তাও সিবিআই-এর হাতে এসেছে বলে সূত্রের খবর।
সূত্রের খবর, ইডির ওপরে হামলার বেশ কিছু দিন পরে যখন সন্দেশখালির মহিলারা শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারি দাবি করে রাস্তায় নেমেছিলেন সেই সময় সন্দেশখালিতেই ছিল ওই নেতা। এমন কী মহিলারা যেসব আলাঘরে আগুন লাগিয়েছিলেন, তার কোনও কোনওটিতেও রাত কাটিয়েছিল শেখ শাহজাহান।
শেখ শাহজাহানকে সিবিআই হেফাজতে পাওয়ার পর থেকে প্রায় এক সপ্তাহ অতিক্রান্ত। তাকে জেরা করে বিভিন্ন বিষয়ে জানার চেষ্টা করছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, জেরায় ছাপ্পান্ন দিনের গতিবিধি নিয়ে জানিয়েছে শেখ শাহজাহান।
শেখ শাহজাহান নাকি দাবি করেছে, ৫৬ দিনের পুরো সময়টাই সন্দেশখালির বিভিন্ন জায়গায় কাটিয়েছে সে। সন্দেশখালিকেই নিরাপদ মনে করলেও বারে বারে আশ্রয় বদল করতে হয়েছে। সেই সময় ইডি তাকে ধরতে লুক আউট নোটিশ জারি করলেও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে সাধারণের সামনে নিখোঁজ থাকলেও আদালতে জামিনের আবেদন করেছিল সে।
শেখ শাহজাহানের দাবি সে রাতে আলাঘরেও কাটিয়েছে। তবে সিবিআই আধিকারিকরা সন্দেশখালির ‘বাঘে’র দেওয়া সব তথ্যে বিশ্বাস করতে রাজি নন। প্রসঙ্গত শাহজাহান অন্তরালে যেতেই সন্দেশখালি জুড়ে বিভিন্ন ভেড়ির পাশে বাঁশ-টিন-অ্যাজবেস্টস দিয়ে তৈরি আলাঘরে মহিলাদের ডেকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। যার জেরে সেই সব আলাঘরে আগুন লাগিয়ে দেন স্থানীয় মহিলারা।
সিবিআই সূত্রে দাবি, শেখ শাহজাহান একা নন, তার ঘনিষ্ঠদের নিয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ঘুরে বেরিয়েছে, ডেরা বদলিয়েছে। কোথায় কার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল শেখ শাহজাহান তা নিশ্চিত করতে সিবিআই আধিকারিকরা সেইসব বাড়ির আরও সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছে।