বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: ভোটের ঠিক আগে দলের নেত্রীর এই বিপদ। কালীঘাটের মন্দিরে সাত সকালে পুজো দিলেন দলীয় কর্মী সমর্থকরা। গতকাল রাত থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন মন্দিরে মুখ্যমন্ত্রীর আরোগ্য কামনায় প্রার্থনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। শুক্রবার সকালে কালীঘাটের মন্দিরে পুজো দিলেন দলের কর্মী সমর্থক।
গতকাল রাতেই এসএসকেএম হাসপাতালে ভিড় করতে শুরু করেছিলেন দলীয় কর্মী সমর্থকরা। প্রিয় নেত্রীর এই দুর্ঘটনার খবরে অনেকেই বাড়িতে বসে থাকতে পারেননি। বেরিয়ে এসেছিলেন তাঁরা। কেউ হাজির হয়েছিেলন সোজা মন্দিরে। সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন মন্দিরে চলছে পুজো অর্চনা। কালীঘাটের মন্দিরে দলনেত্রীর ছবি নিয়ে পুজো নিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার সন্ধে সাড়ে সাতটা নাগাদ হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার কপাল ফেটে রক্ত ঝরছিল। প্রথমে কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা তার কারণ জানা যাচ্ছিল না। পরে জানা যায় তিনি পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন। বিকেলে বাড়িতেই হাঁটাহাঁটি করছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাখনই তিনি পড়ে গিয়ে আহত হন। বেশ কয়েক মাস ধরেই পায়ের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। চিকিৎসকরা তাঁকে নিয়ন্ত্রিত চলাফেরা করতে বলেছিলেন। কিন্তু সেই পরামর্শ উপেক্ষা করেই তিনি প্রচারে মিছিলে হাঁটছিলেন।
গতকাল রাতে কপালে শার্প কাট নিয়ে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে তাঁর চিকিৎসা করা হয়। কপালে চারটে সেলাই পড়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর এমআরআই এবং সিটি স্ক্যান করা হয়। চিকিৎসকরা তাঁকে হাসপাতালে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাতে রাজি হননি তিনি হাসপাতাল থেকে রাতেই বাড়ি ফিরে যান।
খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে এসেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, শান্তনু সহ একাধিক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় একাধিক রাজনৈতিক নেতা এবং মন্ত্রীরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরোগ্য কামনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও তাঁর আরোগ্য কামনা করেছেন।
এদিকে গতকাল হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসায় বিশেষ মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। হাসপাতালের সুপার গতকাল জানিয়েছেন পিছন থেকে ধাক্কা অনুভূত হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেই জল্পনা শুরু হয় তাহলে কি তাঁকে কেউ ধাক্কা দিয়েছিল। তারপরেই কলকাতা পুলিশের সিপিকে ঢেকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশ বিশেষ টিম গঠন করে অনুসন্ধান শুরু করেছে। কালীঘাটের নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে।