বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে মরিয়া নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India) ! বিশেষ করে বাংলায় সন্ত্রাসহীন নির্বাচন করাতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নজিরবিহীন ভাবে ভোট ঘোষণার আগেই বাংলায় পৌঁছে গিয়েছে ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার নির্বাচন রয়েছে উত্তরবঙ্গের একাধিক আসনে।
ভোটের আগে আরও বাহিনী (Central Force) বাংলায় আসবে বলে খবর। আর তার আগেই বাংলার ভোটে (Lok Sabha Election 2024) বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করল নির্বাচন কমিশন। নিয়োগ করা হয়েছে একজন পুলিশ পর্যবেক্ষককেও। যা খবর, আগামিকাল ৩ এপ্রিলের মধ্যেই বিশেষ পর্যবেক্ষকরা বাংলায় চলে আসবেন।
এরপর বাহিনী থেকে শুরু করে যাবতীয় সিদ্ধান্ত আলোচনার ভিত্তিতে পর্যবেক্ষকরাই নেবেন। এমনটাই কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসাবে যাকে বাংলায় নিয়োগ করা হয়েছে তিনি পঞ্জাবের ১৯৮৪ ব্যাচের আইপিএস। নাম অনিলকুমার শর্মা। অন্যদিকে জেনারেল স্পেশাল অবজার্ভার হিসাবে নিযুক্ত হচ্ছেন অলোক সিনহা।
তিনি উত্তর প্রদেশের ১৯৮৬ ব্যাচের রিটায়ার্ড আইএএস অফিসার বলে কমিশন (Election Commission of India) সূত্রে জানা গিয়েছে। নির্বাচন চলাকালীন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ সামনে আসে। যদিও বাহিনীর ব্যবহার নিয়ে কড়া পদক্ষেক নিয়েছে কমিশন। প্রত্যেকদিনের তথ্য পাঠাতে হচ্ছে কমিশন এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে।
এবার পুরো বিষয়টি নজর রাখবেন বাংলায় নিযুক্ত স্পেশাল অবর্জাভার। পাশাপাশি বদলি থেকে ভোটিং মেশিন, প্রত্যেক ক্ষেত্রে থাকবে তাঁর কড়া নজরদারি। প্রত্যেক লোকসভা কেন্দ্রে একজন করে= পর্যবেক্ষক থাকবে। সেই সমস্ত পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ, ঘটনার রিপোর্ট তলব করারও অধিকার থাকবে বিশেষ পর্যবেক্ষকের।
এছাড়াও অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট করানোর ক্ষেত্রেও কমিশন নিযুক্ত পর্যবেক্ষকদের বড় ভূমিকা থাকবে। এখন দেখার বাংলায় শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে কী ব্যবস্থা নেন কমিশন নিযুক্ত পর্যবেক্ষকরা। এদিন বাংলা ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যেও বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে কমিশন।
অন্যদিকে সোমবারই পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে কলকাতার সিইও দফতর অর্থাৎ মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দুই আধিকারিককে সরিয়ে দেয় কমিশন। অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অমিত রায়চৌধুরী এবং যুগ্ম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাহুল নাথের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ আসে কমিশনে। এরপরেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের ডিজিকেও পর্যন্ত সরিয়ে দিয়েছে কমিশন। সরানো হয়েছে চার জেলার জেলাশাসককেও।