বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: আবগারি নীতি মামলায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণের আবেদন খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট।
এর আগেও অবশ্য এইরকম আরেকটি আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল দিল্লি হাইকোর্ট। আদালত এদিন বলেছে, এব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার এক্তিয়ার রয়েছে লেফটেন্যান্ট গভফর্নর এবং রাষ্ট্রপতির। এই অবস্থায় আদালত এব্যাপারে আদেশ দিতে পারে না বলে জানিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট।
তবে আদালত এব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছে। তারা বলেছে, কখনও কখনও ব্যক্তি স্বার্থের থেকে জাতীয় স্বার্থ বড়। তবে এই সিদ্ধান্ত অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি কাজ চৈলিয়ে যাবেন কিনা, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কেজরিওয়ালকে। দিল্লি হাইকোর্টে এই আবেদনটি দাখিল করেছিলেন সমাজকর্মী ও হিন্দু সেনার জাতীয় সভাপতি বিষ্ণু গুপ্তা। তিনি আবেদনটি প্রত্যাহার করে বিষয়টি লেফটেন্যান্ট গভর্নররের সামনে বিষয়টি রাখবেন বলে জানিয়েছেন।
দিল্লি হাইকোর্ট এর আগে কেজরিওয়ালকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণ করতে একটি জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিয়েছিল। এই জনস্বার্থ মামলায়ি দায়ের করেছিলেন সুরজিত সিং যাদব নামে এক ব্যক্তি।
এই সপ্তাহের শুরুতে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অজয় রাস্তোগি বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে কেজরিওয়ালের পদত্যাগ করা উচিত। কারণ তিনি উঁচু পদে রয়েছেন। তিনি যদি হেফাজতে থাকেন, তাহলে হেফাজতে থাকা ব্যক্তির পক্ষে অফিস চালিয়ে যাওয়া ভাল নয়। এব্যাপারে প্রাক্তন বিচারপতি অজয় রাস্তোগি লালু যাদব এবং হেমন্ত সোরেনের কথা উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, হেফাজতে থাকায়, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কোনও কাগজ নিয়ে যাওয়া যাবে না। তাঁকে দিয়ে স্বাক্ষর করানোও যাবে না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২১ এপ্রিল ইডি গ্রেফতার করে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। সম্প্রতি, আদালত তাঁকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। ইডির অভিযোগ, দিল্লি আবগারি নীতিতে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছিল।
আদালতে ইডির তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লি আবগারি নীতিতে অনিয়মের মূল ষড়যন্ত্রকারী। আম আদমি পার্টির অন্য নেতা ও মন্ত্রীরাও এর সঙ্গে যুক্ত। প্রসঙ্গত, দিল্লির প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা মণীশ শিশোদিয়া আবগারি নীতি সংক্রান্ত মামলায় জেলে রয়েছেন।
অন্যদিকে, ইডির অভিযোগকে অস্বীকার করেছে আপ। দিল্লির সরকারের মন্ত্রী অতীশি বলেছিলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ণতার আশ্রয় নিচ্ছে কেন্দ্র। তিনি আরও দাবি করেছিলেন, লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বাধা দিতেই কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর এই মামলায় তিনি দোষী সাব্যস্ত হননি, তাই কেজরিওয়াল পদত্যাগ করবেন না বলে জানিয়েছেন অতীশি।