বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ির উপর ফের হামলার অভিযোগ। বাঁশ, লাঠি নিয়ে হামলার অভিযোগ। ‘গো ব্যাক’ স্লোগান ওঠে। কালো পতাকা দেখানো হয়৷ হুগলির বিজেপি প্রার্থী মাঝেমধ্যেই বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন।
এবার হুগলির বাঁশবেড়িয়া অঞ্চলে এই ঘটনা হয়েছে। গোটা ঘটনায় তৃণমূলকে দায়ী করছে বিজেপি। লকেট চট্টোপাধ্যায় নিজেই অভিযোগ করছেন, গাড়ির কাঁচ ভাঙার চেষ্টা হয়েছিল। জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সাংসদ গত পাঁচ বছরে একবারও আসেননি। ভোটের প্রচারে আসছেন। ভোট মিটতেই আবার উধাও হয়ে যাবেন। এমনই অভিযোগ উঠছে। বিক্ষোভের মধ্যে থেকে বন্দেমাতরম স্লোগানও দেওয়া হয়। বিজেপি বলছে, গোটা ঘটনা তৃণমূল করিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে তৃণমূলের লোকজন ছিল।
এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে তৃণমূল। বিদায়ী সাংসদকে এলাকায় দেখা যায়নি৷ মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হয়েছে। পালটা অভিযোগ তৃণমূলের। লকেট চট্টোপাধ্যায় এলাকার একটি কালী মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন।
প্রচারে বেরিয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায় এর আগেও বাধা পেয়েছেন বলে অভিযোগ। কিন্তু এদিনের হামলা নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা। বাঁশ, লাঠি দিয়ে গাড়িতে মারা হয়েছে। লকেট চট্টোপাধ্যায় ভিডিও করতে শুরু করেন। তাই দেখে বিক্ষোভকারীরা আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। গাড়ির দরজা খুলে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা হয় বলেও অভিযোগ৷
বিদায়ী সাংসদকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। এমনই অভিযোগ সামনে আসছে। নির্বাচন কমিশনের কাছেও এই বিষয়ে অভিযোগ জানানো হবে বলে খবর। পুলিশ ও লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নিরাপত্তারক্ষীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিক্ষোভকারীদেরও এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। লকেট সেখান থেকে ফিরে যান।
কেন এমনভাবে আক্রমণ,বিক্ষোভের শিকার হলেন বিজেপি প্রার্থী? মানুষের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ? না কী তৃণমূলের চক্রান্ত?