বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: কত দিন জেল বন্দি থাকবেন কুন্তল ঘোষ? কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তের গতিপ্রকৃতি কী? কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের সামনে এবার সিবিআই। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল কুন্তল ঘোষকে।
আজ বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি ছিল। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির একাধিক প্রশ্নের সামনে পড়তে হয় সিবিআইকে। এক বছরের বেশি হয়ে গিয়েছে কুন্তল ঘোষ গ্রেফতার। কবে তিনি জামিন পাবেন? সেই প্রশ্ন তুলেছেন খোদ বিচারপতি।
কুন্তল ঘোষ একাধিক বার জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন আদালতে। বার বার সিবিআই জামিনের বিরোধিতা করেছে। তদন্তের স্বার্থে তাকে জেলে রাখা উচিত। এই দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা করে এসেছে বার বার। আজ বৃহস্পতিবার আদালতে মামলার শুনানি ছিল। এক বছরেরও বেশি দিন জেলে আছেন কুন্তল। আর কতদিন তাকে জেলে থাকতে হবে? প্রশ্ন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির।
এক বছর তিন মাস ধরে জেলে আছেন কুন্তল। প্রায় দুই বছর চলছে তদন্তে। চার কোটি টাকা তোলা হয়। কুন্তল নিজেই ওয়েবসাইট তৈরি করে। ভুয়ো ইন্টারভিউ নেওয়া হয় সরকারি অফিসে। কসবা ক্যাম্পাসে সেই ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিলের কসবার অফিসে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। কারা সেই ইন্টারভিউ নিয়েছিল? সেটা স্পষ্ট নয়। কুন্তল, নীলাদ্রি ও তাপস এজেন্ট ছিল। এই কথা জানানো হয়েছে আদালতে।
এর ভিত্তিতে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী বলেন, যা অপরাধ তাতে বড় জোর ১০ বছর কারাদণ্ড হবে। এক বছর পার হয়ে গিয়েছে। এদের আর কত দিন জেল খাটতে হবে? জামিন পেয়ে জেল থেকে বেরিয়ে গেলে প্রমাণ নষ্ট হতে পারে। কুন্তল এই দুর্নীতিতে সেতু হিসেবে কাজ করেছে। এমনই দাবি করলেন সিবিআইয়ের আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী।
কিন্তু এই বক্তব্যে খুব একটা সন্তুষ্ট হননি বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। আদালত জানতে চায় স্টেটাস কি? পাঁচ কোটি টাকা রেকর্ডে আছে। ব্রেক আপ চাই। কত জনকে সিবিআই শনাক্ত করেছে? যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে কুন্তল? কত জনের সম্পূর্ণ বেয়াইনি নিয়োগ হয়েছে? এই সব প্রশ্নের উত্তর জানতে চায় আদালত৷
কুন্তল সম্পর্কে আরও তথ্য তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী মঙ্গলবার ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে আদালতে।