বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল রাজ্য সরকার।
আজই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে রাজ্য সরকার। গতকালই এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০১৬ সালের পুরো প্যানেল বাতিল করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তাতে চাকরি গিয়েছে প্রায় ২৫ হাজার ৭০০ জনের বেশি শিক্ষকের। এখানেই শেষ নয় প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর যাঁরা চাকরি পেয়েছেন তাঁদের টাকা ফেরত দিতে হবে ৪ সপ্তাহের মধ্যে। সেই সঙ্গে ১২ শতাংশ সুদও দিতে হবে।
গতকাল নির্বাচনী প্রচারের মঞ্চ থেকে কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়ের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং এর নেপথ্যে বিজেপির হাত রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। ভোটের আগে ইচ্ছে করেই এই রায় েদওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যকে আবার আদালত অবমানা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। এই নিয়ে হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করতে চেয়ে অনুমতি চেয়েছে তারা।
এদিকে হাইকোর্টের এই রায়ের পর নতুন আন্দোলন শুরু হয়েছে। যোগ্য চাকুরিহারারা রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করে দিয়েছে। আজ ধর্মতলায় এই গরমের মধ্যেও রাস্তায় নেমে মিছিল করেন যোগ্য চাকুরিহারারা। তাঁরা অভিযোগ করেছেন যাঁরা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিল তাঁদের চাকরি যাক। কিন্তু যাঁরা পরীক্ষা দিয়ে ইন্ডারভিউ দিয়ে যোগ্যতার সঙ্গে চাকরি পেয়েছিলেন তাঁদের কেন চাকরি যাবে।
তাঁরাও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছিসলেন।এদিকে হাইকোর্টের এই রায়ের পর নতুন আন্দোলন শুরু হয়েছে। যোগ্য চাকুরিহারারা রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করে দিয়েছে। আজ ধর্মতলায় এই গরমের মধ্যেও রাস্তায় নেমে মিছিল করেন যোগ্য চাকুরিহারারা। তাঁরা অভিযোগ করেছেন যাঁরা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিল তাঁদের চাকরি যাক। কিন্তু যাঁরা পরীক্ষা দিয়ে ইন্ডারভিউ দিয়ে যোগ্যতার সঙ্গে চাকরি পেয়েছিলেন তাঁদের কেন চাকরি যাবে। তাঁরাও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছিলেন।
অন্যদিকে পর্ষদের পক্ষ থেকেও এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। সূত্রের খবর পর্ষদও শীঘ্রই সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে। এদিকে এই নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর তৈরি হয়ে গিয়েছে। শীর্ষ আদালতে স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করেছে রাজ্য সরকার। এই নিয়ে জোর রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিকে আজও হাইকোর্টের রায় নিয়ে সুর চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।