বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: আর কিছুক্ষণ পরেই ছায়া উধাও হয়ে যাবে শহর থেকে। কাঠফাটা রোদে দাঁড়ালেও দেখতে পাবেন না নিজের ছায়া। এমনই এক মহাজাগতিক ক্ষনের সাক্ষী হতে চলেছেন বেঙ্গালুরুর বাসিন্দারা। এর নেপথ্যে এক মহাজাগতির রহস্য রয়েছে। বছরের একটি সুনির্দিষ্ট সময়েই কেবল এই পরিস্তিতি তৈরি হয়।
এই সময় এমন একটি অবস্থানে চলে আসে যে ছায়া পড়ে না। দুপুর ১২টা ১৭ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ২৩ মিনিট পর্যন্ত এই ছায়াহীন অবস্থান দেখা যাবে বেঙ্গালুরু শহরে। সাধারণত বছরে দুইবার এই অবস্থানে আসে সূর্য এবং পৃথিবী। সেসময় যেখানে এই মহাজাগতিক অবস্থান তৈরি হয় সেখানে সেখানে ছায়াহীন দিবস দেখা যায়।
সূর্যের সঙ্গে পৃথিবীর অবস্থান এই সময় এমন একটা জায়গায় পৌঁছয় যখন পৃথিবী এবং সূর্যের উলম্ব অবস্থান একেবারে একলাইনে চলে আসে তখনই এই ছায়াহীন দিবস আসে। জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় জিরো শ্যাডো ডে। কলকাতাতেও গতবছর দেখা গিয়েছিল ছায়াহীন দিবস।
তবে এই ছায়াহীন অবস্থান বেশি সময় স্থায়ী হয় না। অল্প কিছু সময়ের জন্য স্থায়ী হয় এর অবস্থান। বছরে ২ বার দেখা যায় উত্তরায়ণ এবং দক্ষিনায়ণের সময় এই দুই অবস্থান প্রত্যক্ষ করা যায়। বছরের দুটো দিন সূর্যের এবং পৃথিবীর উলম্ব অবস্থান এক রেখায় হয় সেকারণেই কোনও কিছুর ছায়া পড়ে না। সাধারণত মে-জুলাই অথবা অগাস্ট মাসে এই ছায়াহীন দিবস দেখা যায়। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই বিশেষ অবস্থানের জন্য অপেক্ষা করে থাকে।