বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:কোলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের সোমবারের রায়ে একসঙ্গে পড়ায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি চলে যায় – যার মধ্যে ফারাক্কার অর্জুনপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩৬ জন শিক্ষক আছেন।
এমন সমস্যা দেখা দিয়েছে বহু স্কুলেই। বিশেষ করে অনেক স্কুলে একসঙ্গে অনেক শিক্ষকের চাকরি চলে গিয়েছে। ফলে কীভাবে স্কুল চলবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এমন ছবি দেখা গিয়েছে মুর্শিদাবাদের ফারাক্কা ব্লকের ৭টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। যার মধ্যে মুর্শিদাবাদে ফারাক্কার অর্জুনপুর উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবস্থা শোচনীয়। এই স্কুলে একসঙ্গে চাকরি চলে গিয়েছে ৩৬ জন শিক্ষকের। ফলে স্বাভাবিকভাবে স্কুল চালানো নিয়ে উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছেন কর্তৃপক্ষ। জানা যাচ্ছে, এই স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১০ হাজারের বেশি। এই স্কুলে মোট শিক্ষক শিক্ষিকার সংখ্যা ছিল ৬০ জন। এর মধ্যে ৭ জন পার্শ্বশিক্ষক। তবে ৩৬ জন শিক্ষক বাদ পড়ায় এখন এই স্কুলে শিক্ষক শিক্ষিকার সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ২৪ জন। স্বাভাবিক কারণেই গভীর উদ্বেগের স্কুল কর্তৃপক্ষ ও ছাত্রছাত্রীরা।
এই বিষয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘গ্রামীণ এলাকায় অবস্থিত এই স্কুলে বাকি ২৪ জন শিক্ষকের পক্ষে ১০ হাজার পড়ুয়াকে সামাল দেওয়া খুবই মুশকিল। এতে স্কুলের প্রচুর ক্ষতি হবে।’শুধু এই স্কুলটিই নয় ফারাক্কা ব্লকের আরও বেশ কিছু স্কুলের একই দশা এখানকার নয়নসুখ উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৯ জন শিক্ষক ও একজন গ্রুপ সি কর্মীর চাকরি চলে গিয়েছে। উল্লেখ্য, এই স্কুলে আগে ৫৫ জন শিক্ষক ছিল। সকলেই চাইছেন, দ্রুত এই আচলাবস্থা কেটে উঠুক।