বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:সবাইকে অবাক করে দিয়ে গত সোমবার ২০১৭ সালের SSC র নিয়োগ নিয়ে এক ঐতিহাসিক রায় দেন কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে এক সঙ্গে চাকরি হারা হলেন ২৫ হাজারের বেশি শিক্ষক ও শিক্ষিকা।
সেই নিয়ে তোলপাড় সারা ভারত। সেই রায়ের প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী সুর চড়িয়ে বলেছেন, বিচার ব্যবস্থাকে এখনো নিয়ন্ত্রিত হয় বিজেপির অফিস থেকে। মুখ্যমন্ত্রীর এই কথা ‘আদালত অবমাননা’ বলেই অনেকে দাবি করছেন। এই পরিস্থিতিতেই মাঠে নামলেন রাজ্যপাল। মঙ্গলবার সল্টলেকের উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে বলেন, “আমি মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুমতি দিয়েছিলাম। শিক্ষামন্ত্রীর মতো একজন উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তি এ কাজ করেছেন ভেবে আমি স্তম্ভিত হয়েছিলাম।” এ কথা ঠিক জে যখন প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রীর বান্ধবীর বাড়ি থেকে টাকার পাহাড় দেখা যায়, তখন সারা বিশ্বের মানুষ স্তম্ভিত হয়েছিলেন।
সোমবারের ওই রায়ের পরে চাকরিহারারা একদিকে যেমন রাস্তায় নেমে প্রস্তুতি নিচ্ছেন আন্দোলনের, অপর দিকে আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে এসএসসি। আর এই পরিস্থিতিতে এবার নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। একই সঙ্গে তিনি বলেন,”আমরা যা শুনেছিলাম তা এখন কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে প্রমাণ হয়ে গেল।” এখানে উল্লেখ্য, হাইকোর্টের রায়ের পর পার্থকে নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষকেও। তিনি বলেছিলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো কিছু ব্যক্তির পাপের ফল এখন ভোগ করতে হচ্ছে দলকে। আগেই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। এবার রাজ্যপালের মুখেও শোনা গেল সেই একই প্রসঙ্গ। স্বাভাবিক কারণেই মনে হচ্ছে, আবার রাজ্য সরকার ও রাজ্যপাল সংঘাত সামনে চলে আসলো।