বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:সাধারণ মানুষকে ভোট দিতে বাধা দেওয়া হয়। শাসকদলের নেতা কর্মীরা পুলিশকর্মীদের সামনেই এই কাজ করেন। পুলিশ তাঁদের কিছু বলে না বলে অভিযোগ করে থাকে বিরোধীরা।
কিন্তু পুলিশ কর্মীরা কাকে ভোট দেবেন, সেই স্বাধীনতা তাঁদের নেই। এদিন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এমনটাই অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
নিজের দাবি সমর্থনে বিরোধী দলনেতা এব্যাপারে একাধিক অডিও বার্তা শেয়ার করে (সেই অডিও বার্তার সত্যতা যাচাই করেনি বেঙ্গলি ওয়ান ইন্ডিয়া) দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্রকে ট্যাগ করেছেন। ওইসব অডিও কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির পদাধিকারীদের বলেও দাবি করেছেন তিনি।
বিরোধী দলনেতা এদিন অভিযোগ করেছেন, কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করছে। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, এরা আক্ষরিক অর্থে কালীঘাটে একটি কন্ট্রোল রুম তৈরি করেছে। সেখান থেকে স্থানীয় পর্যায়ে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে যাওয়া পুলিশ কর্মীদের ভোটিং প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করছে।
শুভেন্দু অধিকারী আরও অভিযোগ করেছেন, পুলিশ কর্মীদের পোস্টাল ব্যালটের সব ভোট যাতে তৃণমূলের পক্ষে পড়ে তার জন্য কোঅর্ডিনেটর শান্তনু সিনহা বিশ্বাস এবং কলকাতা ও রাজ্য পুলিশের কনভেনর বিজিতাশ্ব রাউতকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, ভোটদানে পুলিশ কর্মীরা তাঁদের স্বাধীন ইচ্ছ প্রয়োগ করতে পারছেন না। ব্যক্তিগতভাবে যাঁকে পছন্দ করেন, তাঁকে ভোট দিতে পারছেন না।
তিনি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটি তৃণমূল কংগ্রেসের একটি শাখা সংগঠন ছাড়া আর কিছুই নয়। এটা তৃণমূলের প্রতি আনুগত্য বহনকারী পুলিশ কর্মীদের অনানুষ্ঠানিক ইউনিয়ন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, তিনি আগেও নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখেছিলেন, রাজ্য পুলিশ বাহিনীর একটি অংশের রাজনীতিকরণ নিয়ে। লোকসভা নির্বাচনের সময় যাতে অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকদের নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে বিরত রাখা যায়, তার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধও তিনি করেছিলেন।
নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির সমস্ত কার্যকলাপ যেন নিষিদ্ধ করা হয়।