বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:রাহুল গান্ধী আদানি-আম্বানিদের নাম করে বারে বারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করেছেন। তাঁদেরকে প্রধানমন্ত্রীর বন্ধু বলে উল্লেখ করে বলেছেন, গত ১০ বছরে ভারতে যেসব ধনকুবের তাঁদের সম্পত্তি বাড়িয়েছেন, তাঁদের মধ্যে এঁরাও রয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী এদিন তেলেঙ্গানায় দলের সমাবেশে রাহুল গান্ধীর আদানি-আম্বানি অস্ত্র তাঁর দিকেই ঘুরিয়ে দিলেন। এদিন তিনি প্রশ্ন করেছেন, হঠাৎ কেন রাহুল গান্ধী আদামি-আম্বানিদের নিয়ে কথা বলা বন্ধ করে দিলেন। তাঁদের সঙ্গে কি কোনও গোপন চুক্তি হয়েছে, প্রশ্ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, কংগ্রেসের শাহজাদা গত পাঁচ বছর ধরে একই কথার পুনরাবৃত্তি করে চলেছেন। প্রথমে রাফালে নিয়ে আক্রমণ। তারপরকে পাঁচ শিল্পপতির কথা বলেছিলেন। এরপর থেকে খালি আদানি আর আম্বানিদের কথা। কিন্তু নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে এই দুজনকে টার্গেট করা বন্ধ করে দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদী এদিন তেলেঙ্গানার জনগণের উদ্দেশে প্রশ্ন করেন বলেন, শাহজাদার ঘোষণা করা উচিত, তাঁরা আদানি-আম্বানির থেকে কত টাকা নিয়েছেন। কত কালো টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন, প্রশ্ন করেছেন মোদী। নগদ কি কংগ্রেসের কাছে গিয়েছে? রাতারাতি আদানি-আম্বানিকে গালি দেওয়া বন্ধ করলেন কেন, নিশ্চয়ই কিছু ভুল হয়েছে, বলেন তিনি।
তবে উল্লেখ করা প্রয়োজন, রাহুল গান্ধী ধারাবাহিকভাবেই বিজেপি এবং প্রধআনমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করে চলেএছন। তিনি বলেছেন, বিজেপির নীতিগুলি শিল্পপতিচদের উপকারের জন্যই। মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ডে কংগ্রেসের প্রচার সভায় অভিযোগ করেন, বিজেপি বনবাসী এবং তাঁদের সব জমি আদানির হাতে তুলে দিয়েছে।
রাহুল গান্ধী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যা করেন, তা কোটিপতিদের জন্য। আদানি-আম্বানির মতো তাঁর ২২-২৫ জন বন্ধু রয়েছে। তিনি (মোদী) যা কিছু করছেন, তা কেবল তাঁদেরই জন্য। জমি, বন, মিডিয়া, পরিকাঠামো, সেতু পেট্রোল সবই তাঁদের জন্য। দলিত, আদিবাসী ও পিছিয়ে পড়াদের জন্য সরকারি সংরক্ষণ ছিল, কিন্তু এই সরকার সবকিছুর বেসরকারিকরণ করেছে। তারা প্রকাশ্যে বলছে, রেলকেউ বেসরকারিকরণ করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছেন, সময় বদলে যাচ্ছে। বন্ধু আর বন্ধু থাকে না। তিন ধাপের নির্বাচন শেষ হওয়ার পরে এবার নিজের বন্ধুদের নিশানা করতে শুরু করেছেন। মোদীজির চেয়ার যে কাঁপছে, তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।