বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:লোকসভা নির্বাচনে হিমাচল প্রদেশের মাণ্ডি আসনে তারকা অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। তিনি ইতিমধ্যেই মনোনয়ন দাখিল করেছেন।
নির্বাচনী হলফনামা থেকে কঙ্গনার সম্পত্তির পরিমাণ জনসমক্ষে এসেছে। তবে সবচেয়ে চমকপ্রদ তাঁর এলআইসি পলিসির সংখ্যা এবং দেনার পরিমাণ।
কঙ্গনা নির্বাচনী হলফনামায় জানিয়েছেন তাঁর মোট সম্পত্তি রয়েছে ৯১ কোটি টাকার বেশি। তার মধ্যে স্থাবর সম্পত্তি ২৮.৭ কোটি টাকার, অস্থাবর সম্পত্তি ৬২.৯ কোটি টাকা। এ ছাড়া দেনার পরিমাণ ১৭.৩৮ কোটি টাকা। কঙ্গনার কাছে ৫ কোটি টাকা মূল্যের সোনা ও ৫০ লক্ষ টাকার রুপো রয়েছে।
১৪ ক্যারাটের যে ডায়মন্ড জুয়েলারি তাঁর কাছে রয়েছে তার অর্থমূল্য ৩ কোটি টাকা। জিরাকপুর, চণ্ডীগড়, মানালি (কুলু) ও মুম্বইয়ের বান্দ্রায় জমি-বাড়ি রয়েছে। মানালির অ্যাপার্টমেন্টটির দাম ৪.৯৭ কোটি টাকা, বান্দ্রার সম্পত্তির মূল্য ২৩.৯৮ কোটি টাকা।
কঙ্গনার যে বিএমডব্লিউ ও ২টি মার্সিডিজ গাড়ি রয়েছে তার দাম ৩.৯১ কোটি টাকা। শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগের পরিমাণ ২১ লক্ষ টাকা। পার্সোনাল লোন দিয়েছেন ১১ জনকে। কঙ্গনার নিজের জন্য ৫০টি এলআইসি পলিসি রয়েছে। এই বিষয়টি সামনে আসতে তা নিয়ে জোর চর্চা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
কেউ লিখেছেন, কঙ্গনার ৫০টি এলআইসি! এলআইসি পলিসি করানো কাকা দারুণ কাজ করেছেন। কেউ আবার লিখেছেন, এতেই বোঝা যাচ্ছে অর্থনীতি সম্পর্কে তাঁর কতটা জ্ঞান! একজন আবার লিখেছেন, কঙ্গনার এলআইসি এজেন্ট সবচেয়ে খুশি ব্যক্তি। হয়তো তাঁর আত্মীয়রাও এলআইসি এজেন্ট। জনৈক লিখেছেন, কঙ্গনা স্টক বা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ না করে ৫০টি এলআইসি পলিসি কিনেছেন, যা অবাক করার মতো।
কঙ্গনার নামে ৮টি ফৌজদারি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে তিনটিতে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। চারটি মানহানির মামলাও তাঁর বিরুদ্ধে চলছে বলে হলফনামায় জানান কঙ্গনা। মাণ্ডি লোকসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে ১ জুন অর্থাৎ সপ্তম দফায়। জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী কঙ্গনা মহিলাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকায় থাকার কথাই তুলে ধরছেন নির্বাচনী প্রচারে।