বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক : চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। সুন্দরবনে ফের বিপদের ঘনঘটা। আজ বিকেল থেকেই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং উপকূলবর্তী জেলা গুলিতে ঝড় বৃষ্টি শুরু হবে বলে সতর্ক করেছে হাওয়া অফিস। রবিবার ল্যান্ডফল করার কথা রয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের। তাতে বাংলাদেশ এবং সুন্দরবনের মাঝামাঝি কোনও একটি জায়গায় ল্যান্ডফল করার কথা।
আর তাতেই সমূল বিবদ দেখছে সুন্দরবন। ফের আয়লার স্মৃতি ফিরতে পারে সুন্দরবনে। রবিবারেই ভরাকোটাল হবে। তার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের দাপট দুয়ের ফলায় ভয়ঙ্কর হতে পারে সুন্দরবনের পরিস্থিতি। আতঙ্কের প্রহর গুণছেন বাসিন্দারা। নিচু এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে অনুরোধ করা হয়েছে। যেসব জায়গায় বাঁধের অবস্থা খুব একটা ভাল নয় সেই সব জায়গা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে অনুরোধ করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের আধিকারীকদের নির্দেশ দিয়েছেন সব ফ্লাড সেন্টারগুলি যেন খুলে দেওয়া হয়। সেখানে নীচু এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নিেয় যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ থেকেই সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকায় মাইকে করে প্রচার করা হচ্ছে। ভরা কোটালের সঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে ঝড়-বৃষ্টির কারণে প্লাবিত হতে পারে নামখানা, কাকদ্বীপ সহ সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা।
সুন্দরবনের একাধিক জায়গায় বাঁধের অবস্থা ভাল নেই। কাঁচা বাঁধগুলি যেকোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। সেকারণে সতর্ক করা হচ্ছে বাসিন্দাদের। এই একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ঘুর্ণিঝড় আয়লার সময়। সেবারও ভরা কোটাল এবং ঘূর্ণিঝড়ে জোড়া ফলায় সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছিল। প্রচুর ঘরবাড়ি ভেঙে গিয়েছিল।
সুন্দরবনের একাধিক জায়গায় বাঁধের অবস্থা ভাল নেই। কাঁচা বাঁধগুলি যেকোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। সেকারণে সতর্ক করা হচ্ছে বাসিন্দাদের। এই একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ঘুর্ণিঝড় আয়লার সময়। সেবারও ভরা কোটাল এবং ঘূর্ণিঝড়ে জোড়া ফলায় সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছিল। প্রচুর ঘরবাড়ি ভেঙে গিয়েছিল।
সেই পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ ভোটের কারণে অনেক কাঁচা বাঁধের মেরামত সেভাবে করা হয়নি। বর্ষা আসার আগে যে বাঁধের পর্যবেক্ষণ করা ভোট ঘোষণা হয়ে যাওয়ার কারণে সেই সব রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা সম্ভব হয়নি। তাতেই আরও আশঙ্কার প্রহর গুণছেন বাসিন্দারা। ভরা কোটালে এমনিতে জল ঢুকে পড়ে একাধিক জায়গায়। তার সঙ্গে যদি ঘূর্ণিঝড় শুরু হয় তাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।