বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব শুরু দক্ষিণ ২৪ পরগনাজুড়ে। ঝোড়ো দমকা বাতাসের সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।
সমুদ্র যথেষ্ট উত্তাল রয়েছে, কালো মেঘে ঢেকে রয়েছে আকাশ। জেলার সুন্দরবন উপকূলে বৃষ্টি ও দমকা বাতাসের তীব্রতা বেশী। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্যোগ বাড়বে বলে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রেমাল আজ রাত ১১টা থেকে একটার মধ্যে স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে। ইতিমধ্যে সুন্দরবনের গঙ্গাসাগর এবং বকখালি পর্যটন কেন্দ্রের সমুদ্র সৈকত গুলিতে পর্যটকদের নামতে নিষেধ করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। জেলার সুন্দরবনের উপরে আঘাত করতে পারে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। সাগর ও ক্যানিংয়ের ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড় বয়ে যাবে। সেই সময় ঝড়ের গতিবেগ ঘন্টায় ১৩০কিমির কাছাকাছি থাকতে পারে। সমুদ্র ও নদীতে ব্যাপক জলস্তর বাড়ার সম্ভাবনা আছে। পূর্ণিমার কোটালের জেরে এমনিতে নদী ও সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। সুন্দরবনজুড়ে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। সুন্দরবনের দুর্বল ও মাটির বাঁধ উপচে জল ঢুকতে পারে লোকালয়ে। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের তরফে সুন্দরবনের দুর্গম তিনটি দ্বীপ ঘোড়ামারা, মৌসুনি ও জি- প্লটে শুকনো খাবার ও পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ওই এলাকার বাসিন্দাদের ফ্লাড সেল্টার বা স্কুলে তুলে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। নদী এবং স্থলপথে চালানো হচ্ছে লাগাতার মাইকিং প্রচার। দুর্যোগের জেরে আজ ও আগামীকাল জেলার সব ফেরি পরিষেবা বন্ধ থাকবে। সমস্ত সরকারি কর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। জেলা, মহকুমা ও ব্লকস্তরে কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। ব্লক অফিসে শুকনো খাবার, পানীয় জল, গুঁড়ো দুধ, ওষুধ, জামা কাপড় , তার্পোলিন মজুত করা হয়েছে। অন্যদিকে ক্যানিং ,গোসাবা ঝড়খালি, কুলতলীতে বাড়ছে আতঙ্ক ।