Spread the love

বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:পুরীতে রীতি মেনে চলছিল চন্দন যাত্রা। সেখানেই আচমকা বাজি বিস্ফোরণ। মুহূর্তে ঝলসে গেলেন অনেকে। ইতিমধ্যেই অন্তত তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সংখ্যা বাড়তে পারে।

ok

অন্তত ৩০ জন আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, নরেন্দ্র পুষ্করিণী সরোবরে ধারে কয়েকশো মানুষ জড়ো হয়েছিলেন চন্দন যাত্রা উৎসবে সামিল হওয়ার জন্য। সেখানেই কয়েকজন ভক্ত আতসবাজি ফাটাচ্ছিলেন। তখনই ঘটে দুর্ঘটনা। ভিড়ের মধ্যে বাজিতে বিস্ফোরণ হতেই সঙ্গে সঙ্গে ঝলসে যান অনেকে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বাজি ফাটানোর সময় একটি জায়গায় বাজিগুলি জড়ো করে রাখা ছিল। একটি বাজির স্প্লিন্টার গিয়ে জমিয়ে রাখা বাজিগুলিতে লাগতেই ঘটে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ। প্রাণে বাঁচতে কয়েকজন সরোবরের জলে ঝাঁপ দেন। আহতদের ভর্তি করা হয় কটকের এসসিবি হাসপাতালে। কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ফলে প্রাণহানির সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা থাকছেই। আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক।

দুর্ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন নবীন। আহতদের যথোপযুক্ত চিকিৎসা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। চিকিৎসার যাবতীয় খরচ মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান উদ্ধারকারী দল। উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওডিশা সরকারের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে তিনি দ্রুত আহতদের আরোগ্য কামনা করেছেন।

উল্লেখ্য, জগন্নাথ মন্দিরে চন্দন যাত্রা উৎসব চলে ৪২ দিন ধরে। চলে ভিতরে ও বাইরে। বাইরের চন্দন উৎসব অক্ষয় তৃতীয়ায় শুরু হয়ে চলে ২১ দিন ধরে। ওই সময়কালে রথযাত্রার জন্য রথ প্রস্তুত করা হয়। চলে রীতি মেনে পূজাও। এরপর ২১ দিন ধরে ভিতরে চলে চন্দন উৎসব।

কথিত আছে, বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসে প্রচণ্ড গরমে ভগবান জগন্নাথ অস্থির হয়ে পড়েন। গরম থেকে বাঁচানোর জন্য মূর্তিতে চন্দনের প্রলেপ লাগানো হয়। ভগবান জগন্নাথদেবকে শীতল করার জন্য বিভিন্ন রকমের বন্দোবস্ত থাকে। যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটে সেই নরেন্দ্র তীর্থ পুষ্করিণী সরোবর পঞ্চদশ শতাব্দীতে গজপতি কপিলেন্দ্র দেবের ভাই নরেন্দ্র দেব তৈপি করেছিলেন। তিনি সেই সময় পুরীর রাজা ছিলেন। জগন্নাথদেবের চন্দন যাত্রার সঙ্গে যোগ থাকায় একে চন্দন পুষ্করিণীও বলা হয়ে থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *