বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:বাঙালি সংখ্যালঘুদের বঞ্চনা সহ্য করতে হয়। ২০১৬ সালে এমনটাই মন্তব্য করেছিলেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। এমনকি বাম আমলে রাজ্যে সংখ্যালঘু মানুষদের দুর্দশার কথা সাচার কমিটির রিপোর্টেও উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এই সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্ককে কাজে লাগিয়ে কার্যত রাজ্যে ক্ষমতার পালাবদল ঘটেছে।
বাংলার মসনদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। কিন্তু মুসলিমদের অবস্থার তেমন কোনও পরিবর্তন আসেনি। কার্যত সেই আক্ষেপই উঠে এল ওয়েস্ট বেঙ্গল মুসলিম অ্যাসোসিয়েশনের সম্মেলনে।
অ্যাসোসিয়েশনের তরফে বুধবার একটি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। যেখানে মুসলিমদের আর্থ সামাজিক পরিস্থিতির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন অশোক গঙ্গোপাধ্যায়, কাজি মাসুম আখতার সহ একাধিক ব্যক্তিত্ব। আর সেই আলোচনা থেকেই সরকার ও সমাজের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দেন তাঁরা। একই সঙ্গে সংরক্ষণ নিয়ে যে রাজনীতি চলছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল মুসলিম অ্যাসোসিয়েশনে যোগ দেওয়া বক্তারা।
সম্মেলনের শুরুতেই আঠারো বছর আগের সাচার কমিটির রিপোর্টের কথা উল্লেখ করা হয়। দেশের মধ্যে বাংলাতেই সংখ্যালঘুরা অবহেলিত। কিন্তু তাঁরা বুঝতে পারছেন না। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকাতে স্কুল, কলেজের সংখ্যা কম। এমনকি ওবিসিতে দশ শতাংশ সংরক্ষণ থাকা সত্বেও সরকারি চাকরিতে মুসলিমদের সংখ্যা দুই থেকে চার শতাংশ। তারই প্রতিবাদ জানান এদিন কাজি মাসুম আখতাররা।
শুধু তাই নয়, আজও হাতে না মেরে ভাতে মারা হচ্ছে যে তা সাধারণ সংখ্যালঘু মানুষরা বুঝতে পারছেন না। এমনকি কখনও দুধেল গাই, রসালো আম বলার পরেও চুপ করে থাকা এবং মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার প্রকৃত সংজ্ঞা বুঝতে না পারার সমালোচনার করা হয় সম্মেলনে। সম্প্রতি ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।
নির্দেশ অনুযায়ী, ২০১০ সালের পর থেকে হওয়া সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল। ওয়েস্ট বেঙ্গল মুসলিম অ্যাসোসিয়েশনের তরফে এদিন এই ইস্যুতে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করা হয়। সঠিক উপায়ে কেন ওবিসি তালিকা তৈরি হল না? তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কাজি মাসুম আখতাররা।