বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:কাঁথি লোকসভা আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের হার। আর তারপরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি ও অন্যান্য কয়েক জন তৃণমূল নেতৃত্ব সেভাবে ভোটের কাজ করেননি। সেই কারণে তৃণমূল সেখানে হেরেছে। এমন কথা শোনা যাচ্ছে। তৃণমূল প্রার্থী উত্তম বারিকের মধ্যেও ক্ষোভ রয়েছে এই বিষয়ে।
কাঁথি লোকসভা কেন্দ্র হারিয়েছে তৃণমূল। এই কেন্দ্রে কার্যত অধিকারী পরিবারের সঙ্গে লড়াই ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের। ফল বেরোতে দেখা গেল কাঁথি লোকসভা কেন্দ্র হারিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। শিশির অধিকারীর কনিষ্ঠ পুত্র সৌমেন্দু অধিকারী সেখানে জিতেছেন।
তৃণমূলের টিকিটের এই লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন শিশির অধিকারী। তাঁর সঙ্গে দলের সম্পর্ক অনেক আগেই শেষ হয়েছে। শিশির অধিকারী এখন বিজেপি পরিবারের সঙ্গে। শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শিশির অধিকারীর জায়গায় বিজেপি সৌমেন্দু অধিকারীকে প্রার্থী করেছিল।
এদিকে তৃণমূল এই কেন্দ্র জেতার জন্য মরিয়া ছিল। নেতৃত্বের কাছে এই কেন্দ্রে জয় ছিল সম্মানের লড়াই। দল উত্তম বারিককে প্রার্থী করে। প্রচারও শুরু করে তৃণমূল। কিন্তু ভোটের ফল বেরোতে দেখা যায় পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী।
সৌমেন্দু অধিকারীর কাছে উত্তম বারিক ৪৭ হাজার ৭৬৪ ভোটে পরাজিত হয়েছেন। সৌমেন্দু অধিকারী পেয়েছেন ৭ লক্ষ ৬৩ হাজার ১৯৫ টি ভোট৷ অন্যদিকে তৃণমূল প্রার্থী উত্তম বারিক পেয়েছেন ৭ লক্ষ ১৫ হাজার ৪৩১ টি ভোট। কেন তৃণমূল এই আসনে হারল? তাই নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।
অভিযোগ উঠছে, রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি এই কেন্দ্রে তেমনভাবে প্রচারে ছিলেন না। তাঁর ছেলে সুপ্রকাশ গিরি ও আরও কয়েক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠছে৷ প্রচারে মন্ত্রী ও অন্যান্যরা অসহযোগিতা করেছেন। এই মারাত্মক কথা শোনা গিয়েছে।
তৃণমূল প্রার্থী উত্তম বারিক সরাসরি মন্ত্রীর নামে অভিযোগ করেননি৷ তবে প্রচার যে সম্পূর্ণ শক্তি দিয়ে হয়নি। সেই কথাও সংবাদ মাধ্যমের সামনে জানিয়েছেন তিনি। ভোটের প্রচারে খামতি ছিল। এই কথা উচ্চ নেতৃত্বকেও জানানো হয়েছিল বলে খবর৷ দিল্লি থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ফিরলে, এই বিষয়টি সামনে আনা হবে। এই কথা শোনা গিয়েছে৷
যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি। তিনি জানিয়েছেন, কাঁথি লোকসভা কেন্দ্র হাতছাড়া হল। কেন এমন হল, পর্যালোচনা করে খতিয়ে দেখা হবে। বিভিন্ন জায়গায় ভোট কম পড়েছে তৃণমূলের। রামনগরেও তৃণমূল হেরে গিয়েছে।
কাঁথিতে দল হেরেছে। তাঁর কেন্দ্রে দল ভোট কম পেয়েছে। এই বিষয়টিতে খারাপ লেগেছে অখিল গিরির। তবে যারা অভিযোগ করছেন, তারা নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকবার জন্য করছেন। তাও দাবি করেছেন রাজ্যের কারামন্ত্রী।
এদিকে সুপ্রকাশ গিরি পালটা অভিযোগ করছেন। অখিল গিরিকে নির্বাচন পরিচালনার জন্য সম্মান দিয়ে ঠিক মতো কাজে লাগানো হয়নি৷ সুপ্রকাশের নিশানায় খোদ তৃণমূল প্রার্থী। তাঁদের ঠিক মতো কাজে লাগানো হয়নি। তেমন অভিযোগ সুপ্রকাশ গিরির।