Spread the love

বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:ফুঁসছে তিস্তা। রাস্তায় ধসে তিনজনের মৃত্যু। সিকিমের আটকে অন্তত ১৫০০ পর্যটক।

দক্ষিণবঙ্গে যখন প্রবল তাপ প্রবাহ, তখন উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টি।। গত ৩/৪ দিন ধরে বৃষ্টিতে নাজেহাল সিকিম সহ পুরো উত্তরবঙ্গ। শুক্রবারও ধস অব্যাহত। ফুঁসছে তিস্তা নদী। পাহাড়ি রাস্তায় একের পর এক ধস নামতে শুরু করেছে। পাশাপাশি চলছে উদ্ধার কাজ। তবে সিকিম সরকার সূত্রে আশ্বস্থ করে জানানো হয়েছে মূলত লাচুং জেলা সিকিম থেকে এই মুহুর্তে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন রয়েছে। সেনাবাহিনী জোর তৎপরতার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার জন্য যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ করছে। আবহাওয়ার কারণে কিছুটা ধীর গতিতে চলছে উদ্ধার কাজ। ফের ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে সিকিমে। কপালে চিন্তার ভাঁজ প্রশাসকের। এদিকে সিকিম সরকারের টুরিজিম এবং সিভিল এভিটেশন দপ্তরের থেকে শুক্রবার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে সিকিমে ধসের জেরে লাচুং জেলা সিকিম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে।

সিকিম প্রশাসন জানিয়েছে, শুধু মাত্র লাচুং জেলাতেই মোট ১২০০ ভারতীয় পর্যটক এবং ১৫ জন বিদেশি পর্যটক সিকিমে আটকে রয়েছেন। জেলায় ধস নামার কারণে আটকে রয়েছেন। মোবাইল নেটওয়ার্ক বসে যাওয়ায় যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন। পাহাড়ি ধসে স্থানীয় তিনজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।

এদিন সকালে নতুন করে ধস নামার ঘটনা ঘটেছে উত্তর ও দক্ষিণ সিকিমে। টুং, দক্ষিণ সিকিমের লিঙ্গসে, লিঙ্গে ও পাইয়ংয়ের মূল রাস্তা এবং কাওখোলা ও সুন্তালে এলাকাতেও ধস নামে। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে পর্যটকেরা প্রত্যেকেই নিরাপদে রয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসন পর্যটকদের থাকা খাওয়া চিকিৎসার সব রকম ব্যবস্থা করেছে। উদ্বেগের কোন কারণ নেই। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যটকদের অনুরোধ করা হয়েছে ধস সরিয়ে রাস্তা স্বাভাবিক হবার আগে কেউ যেন এই এলাকা থেকে সমতলে নামার চেষ্টা না করেন।

এদিকে বাড়ছে তিস্তার জল। তিস্তার জল দেখার মোহে বছরে বহু মানুষ এখানে ছুটে আসে। সেই তিস্তাই বর্তমানে হয়ে উঠেছে ভয়াল ভয়ঙ্করী। বর্ষা আসলেই তিস্তা ভয়ংকর রূপ ধারণ করে থাকে। তবে গত বছর থেকেই সেই ভয়ংকর রূপ হয়ে উঠেছে আরো ভয়ংকরী। যা দেখে শিউরে উঠতে হয়। আর এই তিস্তাই এখন বিভীষিকায় পরিণত হয়েছে পাহাড়বাসীদের কাছে। তিস্তা নদীর জল স্তর বেড়ে যাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে তিস্তা বাজার, মল্লি ,রম্বি গেইলখোলা, ২৯ মাইল সহ বিভিন্ন এলাকা। স্থানীয় এলাকাবাসীরা বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। তিস্তার গ্রাসে সড়ক পথ থেকে শুরু করে মানুষের বসবাসের বাড়ি সবটাই তিস্তা গর্ভে বিলীন হয়ে চলেছ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *