বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: চাপ বাড়ল বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদের। দল বদলের জল্পনার মাঝেই বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁর বিরুদ্ধে জারি হয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানা। বিধাননগরের MP-MLA কোর্টে এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ২০২৩ সালের মামলায় বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
২০২৩ সালে সোনামুখীতে হিংসা ছড়ানো এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগ রয়েছে বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে। তার চার্জশিট আদালতে পেশ করেছে পুলিশ। জামিন অযোগ্য ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আগামী ৯ জুলাই তাঁকে আদালতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। এর আগেও একাধিকবার হাজিরা এড়িয়েছেন সাংসদ।
এবার হাজিরা না দিলে সাংসদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। অর্থাৎ সাংসদকে গ্রেফতার করার কথা বলা হয়েছে। একাধিকবার সাংসদ হাজিরা এড়ানোয় বিরক্তি প্রকাশ করেছেন বিচারক। প্রতিবারই ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের উদ্ধারের কাজে রয়েছেন বলে একাদিক অজুহাজে হাজিরা এড়িয়েছেন সাংসদ।
২০২৩ সালে সোনামুখী থানায় সৌমিত্র খাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল সোনামুখী থানায়। সেই মামলায় সৌমিত্র খাঁ-র বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানো, মারপিট, শ্লীলতাহানির অভিযোগ রয়েছে। ইতিমধ্যেই সই মামলায় চারটি শুনানি হয়েছে। কিন্তু কোনও শুনানিতেই হাজির ছিলেন না সাংসদ। একাধিকবার তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নোটিস পাঠানো হলেও নানা অজুহাত দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। এবারও তিনি আইনজীবী মারফত খবর পাঠান যে ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের সুরক্ষা দিতে ব্যস্ত রয়েছেন তাই হাজিরা দিতে পারবেন না।
বারবার নানা অজুহাতে বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারক। এবং এবার আর কোনো অভিযোগ শোনা হবে না বলে জানিয়েছেন বিচারক। এবং এবার হাজিরা না দিলে সাংসদকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এমনিতেই জামিন অযোগ্য ধারায় মামলায় রয়েছে। তার পরে যদি বিজেপি সাংসদ হাজিরা না দেন তাহলে গ্রেফতার হতে হবে সৌমিত্র খাঁকে।
গত কয়েকদিন ধরে হঠাৎ করে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ দেখা যাচ্ছে সৌমিত্র খাঁকে। ভোটে জেতার পর হঠাৎ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশংসা শোনা গিয়েছিল সৌমিত্র খাঁর মুখে। তারপরেই শুরু হয়েছিল দল বদলের জল্পনা। আবার বাঁকুড়ার প্রবীণ তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতেই দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তারপরে আরও জোড়াল হয়েছিল তৃণমূলে যোগাদানের জল্পনা।