Spread the love

বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: কোলাঘাট, পূর্ব মেদিনীপুর: বৃহস্পতিবার রাত্রে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটে সাংবাদিক বৈঠক করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এদিনের এই সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে তিনি প্রতিক্রিয়া দিলেন। তিনি বলেন, রাজ্যে 26000 চাকরি বাতিলের প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, যোগ্য শিক্ষক শিক্ষা কর্মীদের পাশে আমরা সর্বদাই সঙ্গে ছিলাম। যতটুকু সুযোগ পেয়েছিলাম তাতে আমরা সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আজকে সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশিকা জারি করেছে, পরীক্ষা হোক নিয়ম মেনে ১০০% রোস্টার মেনে। নিয়ম মেনে চাকরি হোক এই দাবি আমাদের দীর্ঘদিনের। কিন্তু এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা সরকার চাকরি দিতে চান না। তারা ভাতাতে বিশ্বাস করে। টোছনে বিশ্বাস করেন। খেলা মেলা বিশ্বাস করেন। কিন্তু আমরা প্রথম থেকেই চাকরি দেওয়ার পক্ষপাতী। রাজ্যে প্রচুর পার্মানেন্ট পদ বিলুপ্ত করেছে। নিয়ম না মেনে অবৈধভাবে নিয়োগ হচ্ছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট আগামী ২ তারিখের মধ্যে অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশের নির্দেশিকা দিয়েছেন। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে, ২০২২ সালে তদানীং গঙ্গোপাধ্যায় তিনি প্রায় সাত হাজার অযোগ্যদের চিহ্নিত করে ২৬ হাজারের চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেননি। অথচ এই মুখ্যমন্ত্রী তিনি তার দম্ভ ঔদ্ধত্য, অহংকার এবং তার ভাইপোর নেতৃত্বে যে টাকা টাকার বিনিময়ে অধিকাংশ চাকরি হয়েছে। কিছু তৃণমূলের আত্মীয়দের চাকরি হয়েছে। তাদের গো ছিল। কার অযোগ্য তৃণমূল সরকার অযোগ্যদের চাকরি দিতে পারেন না।
তাই দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের মানুষের করের টাকায় তারা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত আদালতে মামলা টেনে নিয়ে গেছে। সেদিন ২০২২ সালে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের অর্ডার কে মান্যতা দিলে আজকে এমনটা হতো না। তার অর্ডার কার্যত আজকে সুপ্রিম কোর্ট সিলমোহর দিয়েছেন। স্ট্যাম্প লাগিয়ে দিল। সেদিন কিন্তু অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যোগ্য অযোগ্য বাছাই করে দিয়েছিলেন। সরকার এবং আমাদের এসএসসি যোগ্যদের তালিকা দেননি বলেই আজকে এই পরিণতি হল সুবল সুরেনদের এর মত অনেক কৃতি শিক্ষকদের আমরা হারালাম। ৭ই জানুয়ারি যোগ্য ওযকদের তালিকা প্রকাশের শেষ সুযোগ দিয়েছিল মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট। বিজেপির পক্ষ থেকেও ১৫ জন বিধায়ক আমরা এসএসসির কাছে দেখা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু এসএসসি চেয়ারম্যান আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি। সেদিনও আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছিলাম, অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশের জন্য। সিবিআই তাদের মডার্ন টেকনোলজি ব্যবহারের মাধ্যমে গাজিয়াবাদ থেকে ডিভাইস উদ্ধারের করে অযোগ্যদের যে তালিকা তৈরি করেছিল তার জন্য সমস্ত কৃতিত্ব কিন্তু সিবিআইয়ের। তার মানে বাকিরা কিন্তু যোগ্য। তাই আমি অবশ্যই বলব যোগ্যদের তালিকা নিয়ে যে সুপ্রিমকোর্টে লড়াই সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্টে হয়েছে। আমরা বিধানসভার মধ্যে বলেছি বাইরে বলেছি। বিশিষ্ট আইনও বলেছেন। কিন্তু আপনারা করেননি। যাবেন কোথায়। যাওয়ার তো কোন রাস্তা নেই। ২ তারিখ কিন্তু আপনাকে অযোগ্যদের তালিকা দিতেই হবে। এর মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হবে মমতা সরকার অযোগ্যদের চাকরি দেয়।। একটা নির্বাচিত সরকার সংবিধানকে সামনে রেখে কখনোই অযোগ্যদের চাকরি দিতে পারেন না। অযোগ্যদের তালিকা আপলোড হওয়ার পরেই পুরো মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আওয়াজ। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি আমরা করব করব। করা উচিত। যুক্তিসঙ্গত। কারণ কোন নির্বাচিত সরকার সংবিধানকে সামনে রেখে অযোগ্যদের চাকরি দিতে পারেন না। দু তারিখ অযোগ্যদের তালিকা এনে বাকিদের যোগ্য বলে ধরে নেওয়া যাবে। তাহলে এই যোগ্যদের নিয়ে আর কেন পুনরায় দশ বছর পর এই পরীক্ষা? যোগ্যদের যে তালিকা বিগত চার বছর ধরে বহু প্রতিক্ষত,
একটা সুযোগ আজকে সুপ্রিম কোর্ট দিয়েছেন। এই সরকারের আজ যাওয়ার কোন জায়গা নেই। তালিকা প্রকাশ করতেই হবে। কিন্তু করবে এটাই তালিকা প্রকাশ করবে কিনা সে বিষয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে। কারণ বিয়ের ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ দিয়ে দেওয়ার অর্ডার হওয়ার পরেও কিভাবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করতে পারে একটা সরকার। এই প্রবণতা এই সরকারের মধ্যে দেখা গিয়েছে। ক্লাবগুলোকে বিপুল পরিমাণের টাকা অনুদান দেয়া হচ্ছে।