বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:’মেঘভাঙা বৃষ্টি’ কথাটা উত্তরাখন্ডে খুবই প্রচলিত। প্রতিবছর প্রকৃতির এই রুদ্ররূপে বহু। মানুষের হতাহতের খবর পাওয়া যায়। এবার ক্রমাগত বৃষ্টির সঙ্গে আগস্টের শেষে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত উত্তরাখান্ডের রুদ্রপ্রয়াগ ও চামোলি জেলা। একাধিক পরিবার ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়েছে, বহু মানুষ আহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েছেন বহু পরিবার। বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বলে জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী। সূত্র মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, রুদ্রপ্রয়াগের বারেৎ ধুংগার টোক এবং চমোলি জেলার দেবাল এলাকায় দুটি পৃথক মেঘভাঙার ঘটনা ঘটেছে। যার ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পুরো এলাকা। বহু মানুষ আটকে পড়েছে। এই মুহূর্তে তাদের উদ্ধার করা দরকার বলেই জানিয়েছেন উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি আরো জানিয়েছেন, তৎপরতায় উদ্ধার ও ত্রাণ কার্য চালাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন। তিনি নিজে সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন, কর্মকর্তাদের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রাখছেন। মুখ্যমন্ত্রী এক্স-এ লিখেছেন, “সকলের নিরাপদ সুস্থতার জন্য বাবা কেদারের কাছে প্রার্থনা করছি।” এর আগে গত সপ্তাহেই চমোলিতে মেঘভাঙার জেরে থারালি এলাকায় রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। তুনরি গদেরা স্রোতে জল বেড়ে যাওয়ায় কাদা ও ধ্বংসাবশেষ তহশিলে ঢুকে পড়ে, একাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চেপদো বাজার ও কোটদ্বীপ বাজারেও ধ্বংসাবশেষ ঢুকে পড়ে। গাড়ি কাদার মধ্যে আটকে থাকার ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে। এদিকে, উত্তরকাশীর হরশিল উপত্যকায় গত কয়েকদিন ধরেই চলছে ত্রাণকাজ। গদগদ গদেরা থেকে নামা ধ্বংসাবশেষের কারণে যমুনা নদীতে অস্থায়ী হ্রদ তৈরি হওয়ায় সেই এলাকায় গুরুতর সমস্যা দেখা দিয়েছে।