বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: ভুটানে টাইলস মিস্ত্রির কাজে কাজে গিয়ে সমস্যায় পড়ে মুর্শিদাবাদের পাঁচজন শ্রমিক। ফেসবুকে পোস্ট করে বাড়ি ফেরার আর্তনাদ জানান পরিযায়ী শ্রমিকরা। সেই পোষ্ট দেখে রানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বিদ্যুৎ সরকার শ্রমিকদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ খবর নেই। তারপর মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ ভুটান পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানান।
ভুটান পুলিশের সহযোগিতায় মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের তৎপরতায় বৃহস্পতিবার ভুটান থেকে নিরাপদে ফিরলেন পাঁচ শ্রমিক। তাদের রাণীনগর থানায় ফুল-মিষ্টি দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ভুটান থেকে ফেরা আসা শ্রমিকদের নাম,
আনোয়ার হোসেন (পিতা অনারুল মণ্ডল), গ্রাম কাটলামারি পরানপুর।
রুবেল শেখ (পিতা হাবিব শেখ), গ্রাম কাটলামারি পরানপুর। সাইনুল মোল্লা (পিতা সামসের মোল্লা), গ্রাম মহঙ্গঞ্জ গুরিপাড়া। এদের তিনজন রাণীনগর থানার বাসিন্দা। এছাড়া
ইসরাইল শেখ (পিতা আব্দুর রাজ্জাক), গ্রাম হেরমপুর নতুনপাড়া।রাকেশ শেখ (পিতা মন্টু শেখ), গ্রাম হেরমপুর রেজালিপাড়া। এই দু’জন ইসলামপুর থানার বাসিন্দা।
জানা যায়, মুর্শিদাবাদ জেলার রাণীনগর ও ইসলামপুর থানার পাঁচ যুবক পেটের তাগিদে রোজগারের আশায় ভুটানে গিয়েছিলেন কাজে। সেখানে তারা টাইলস মিস্ত্রির কাজে গিয়েছিলন। কিন্তু সেখানে গিয়েই তাঁরা পড়েন প্রতারণার ফাঁদে।নিয়োগকারী ভারতীয় ঠিকাদার টাকার বিবাদকে কেন্দ্র করে তাঁদের বিভ্রান্ত করে আটকে রাখেন ভুটানের ঠিকাদার বলে অভিযোগ। এরপর পাঁচ শ্রমিকরা ফেসবুকে পোস্ট করে বাড়ি ফেরার আর্তনাদ জানান।রানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বিদ্যুৎ সরকার সেই ফেসবুক পোস্ট দেখে উদ্যোগ নেই তাদের ভুটান থেকে বাড়ি আনার। মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশ দ্রুত উদ্যোগে তাদের পাঁচ জনকে বাড়ি ফিরিয়ে আনে। শেষ পর্যন্ত পুলিশের হস্তক্ষেপেই বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট, ওই পাঁচজন শ্রমিক সুস্থ-সবল অবস্থায় দেশে ফিরে আসেন। পরিযায়ী শ্রমিকরা রাণীনগর থানায় পৌঁছতেই পুলিশ ফুল ও মিষ্টি দিয়ে তাঁদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানায়। প্রতারণা ও দুশ্চিন্তার দীর্ঘ অধ্যায় শেষে শ্রমিকদের পরিবারের মুখে ফুটে ওঠে স্বস্তি ও আনন্দ।
শ্রমিকরা জানান, মুর্শিদাবাদ জেলা পুলিশের তৎপরতা ছাড়া তাঁদের নিরাপদে ফেরা সম্ভব ছিল না। প্রতারণার শিকার হওয়া সত্ত্বেও অবশেষে বাড়ি ফিরতে পেরে তাঁরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং পুলিশের উদ্যোগকে সাদুবাদ জানান। এলাকাবাসীরাও পুলিশের এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন।
জেলা পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, শ্রমিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি ভবিষ্যতে যাতে আর কেউ প্রতারণার শিকার না হন, তার জন্য সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হবে। একই সঙ্গে অভিযুক্ত ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও পুলিশ সূত্রে জানাযায়।